সংঘর্ষ। বাদকুল্লায়। নিজস্ব চিত্র
ডানা এখনও তেমন শক্ত হয়নি, কিন্তু ল্যাং মারামারি শুরু হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতি যে মারপিট থামাতে পুলিশকে নামতে হচ্ছে। দুই পক্ষেরই দাবি, তারা আসল বিজেপি। মাঝখান থেকে মার খেয়ে আহত হন মহিলা মোর্চার এক সদস্য।
সংঘাতটা আসলে বিজেপি কিসান মোর্চার প্রাক্তন ও বর্তমান দক্ষিণ জেলা সভাপতির। প্রাক্তন সভাপতি অসিত প্রামাণিকের গোষ্ঠী বাদকুল্লার একটি লজে দীনদয়াল উপাধ্যায়ের আত্মবলিদান দিবস উপলক্ষে সভার আয়োজন করেছিল। তা ভেস্তে দিতে উঠে-পড়ে লাগেন বর্তমান সভাপতি নিশীথ বিশ্বাসের অনুগামীরা। তাতেই গোলমাল বেধে যায়।
মাসখানেক আগেই অসিতকে পদ থেকে সরিয়ে নিশীথকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ দিন অসিতের অনুগামীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে সভায় জড়ো হচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, নিশীথের অনুগামীরা এসে জানতে চান, কেন তাঁরা সভা করছেন। এই নিয়ে তর্কাতর্কি, মারপিট বেধে যায়। আহত হন মহিলা মোর্চার সদস্য বৈশালী দত্ত। বৈশালীর আক্ষেপ, “আমি ওদের বলেছিলাম, আমরা সবাই বিজেপি। সমস্যা কোথায়? গন্ডগোল করলে দলেরই ক্ষতি।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘এ কথা বলা মাত্রই আমাকে মারধর করা হয়। হাত ধরে টানাটানিও করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।” উভয় পক্ষই পুলিশের কাছে একে অপরের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয় দেখানোর অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতেই পরে সভা শুরু হয়। নিশীথের দাবি, “ওরা তো বিক্ষুব্ধ। ওরা কেন দলের পতাকা ব্যবহার করবে, সেই প্রশ্ন তুলতেই মারধর শুরু করে। আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।” অসিতের পাল্টা বক্তব্য, “সভা বানচাল করবে বলে ওরা লাঠিসোটা নিয়ে এসেছিল। আমাদের কয়েক জন মারা খায়। তাও ওরা সভা পণ্ড করতে পারেনি।”
বিজেপি নদিয়া দক্ষিণ জেলা সভাপতি জগন্নাথ সরকার বিষয়টিকে লঘু করে দেখানোরই চেষ্টা করেছেন। তাঁর ব্যাখ্যা, “এটা বড়সড় বিষয় নয়। যারা সংগঠনের দায়িত্বে নেই, তারা উদ্যোগী হয়ে সভা করছিল। আমাদের দলের কয়েক জন প্রতিবাদ জানায়। তা নিয়ে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে।” পুলিশ কোনও ধরপাকড় করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy