Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

কুপার্সে বামেরা নেই সব আসনে

এ প্রসঙ্গে সিপিএমের নদিয়া জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন,“আমরা সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারিনি ঠিকই, তবে কুপার্সে আমাদের সে রকম জনভিত্তি নেই বললে ভুল হবে।” ১৯৯৭ সালে প্রথম নোটিফায়েডের নির্বাচন হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কুপার্স শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৭ ১০:২০
Share: Save:

বিশ বছর আগে, বাম জামানায় কুপার্স ক্যাম্পে প্রথম নির্বাচনের সময়ে উদ্বাস্তু বসত জুড়ে রেষারেষিটা ছিল বাম শরিকদের মধ্যে। কোন শরিকের কপালে কোন ওয়ার্ড— তা নিয়ে কম জল্পনা ছিল না। সেই বামেরা এ বার কুপার্সের ১২টি আসনের সব ক’টিতে প্রার্থীই দিতে পারল না। একটি আসনে, নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করে কোনও রকমে মুখরক্ষা করতে হয়েছে তাদের।

তবে, সেই ঘোর বাম রাজত্বেও কুপার্সের মানুষ কাছে টেনে নিয়েছিল স্থানীয় কংগ্রেস নেতা শঙ্কর সিংহকে। পরের নির্বাচনে একা দাঁড়িয়ে থেকেই কুপার্স ছিনিয়ে নিয়ে গেছিলেন শঙ্কর।

সদ্য দল বদলে ফেলেছেন শঙ্কর। কুপার্সে তাঁর পুরনো দাপট মনে রেখে তৃণমূলও তাই কুপার্স নির্বাচনের ভার তুলে দিয়েছে তাঁর হাতেই।

এ প্রসঙ্গে সিপিএমের নদিয়া জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন,“আমরা সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারিনি ঠিকই, তবে কুপার্সে আমাদের সে রকম জনভিত্তি নেই বললে ভুল হবে।” ১৯৯৭ সালে প্রথম নোটিফায়েডের নির্বাচন হয়েছিল। তখন কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি লড়াই ছিল বামেদের। ১৯৯৭ এবং ২০০২ সালে দু’টি এবং ২০০৭ সালে মাত্র একটি ওয়ার্ডে জিতেছিল বামেরা। এমনকী গত বার তারা একটি ওয়ার্ডেও জিততে পারেনি। আর, এ বার সব আসনে প্রার্থীই দিতে পারল না তারা।

আর, শঙ্কর সিংহ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত চার বার নোটিফায়েডের নির্বাচন হয়েছে। ওই জনপদের মানুষ প্রথম থেকেই বাম বিরোধী। আর আমি সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছি মাত্র।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE