এক জোড়া হাঁসের ডিম। দাম ১৮ টাকা। কিনতে গিয়ে ভিরমি খাওয়ার অবস্থা আছিনা বিবির।
মঙ্গলবার সকালে চাকদহ বাজারের আনাজ বিক্রেতা মহিলা বলেন, ‘‘তুমি তো অনেক দিন বাজারে আসো না মাসি। তাই জানো না। কাল থেকে ২০ টাকা জোড়া কিনতে হবে।’’ তিনি জানান, বাজারে পোলট্রি মুগির ডিমই তো ১৪ টাকা জোড়া বিকোচ্ছে। আছিনা বিবি জানান, তিনি ওই ডিম খান না। আর নিয়মিত আসেন না বলে জানেন না দামও।
আছিনা বিবির মতো অনেকেই বাজার থেকে চেনা বিক্রেতার কাছে হাঁস এবং দেশি মুরগির ডিম কেনেন। পোলট্টি ডিমের আকালের বাজারে দাম চড়ছে দেশি ডিমেরও। তবে গ্রামের বিক্রেতা তাতে খুশিই। কারণ, এই সুযোগে তাঁদের দু’পয়সা বেশি উপায় হচ্ছে। রাজ্যে সব পঞ্চায়েত এলাকায় প্রাণি সম্পদ বিকাশ দফতর থেকে হাঁস-মুরগির বাচ্চা বিলি হচ্ছে। ফলে গ্রামে কমবেশি সব বাড়িতেই এখন হাঁস-মুরগি পালন হয়। হাঁস বা মুরগির ডিম বেশিরভাগ সময় কিনে নেন শহরের পাইকারি বিক্রেতারা। এতদিন তাঁরা বড়জোর এক জোড়া ডিমের দাম পেতেন ১০ টাকা।
হরিশপুরের বাসিন্দা মানিক হালদার বলেন, “দিনমজুরি করে খুব কষ্টে চারজনের সংসার চালাই। মাঝে মাঝে কাজ থাকে না। তখন হাঁস-মুরগির ডিম বেচে কোনও রকমে দিন চলে। এতদিন কম দামেই বেচতে হত। এখন সাড়ে সাত টাকা করে দাম পাচ্ছি।’’ এরই মধ্যে সরকারি হাঁস-মুরগির ছানা বিলি নিয়ে অভিযোগও উঠেছে। জেলা আই টি ইউ সি সভাপতি পশুপতি অধিকারী বলেন, “গরিব মানুষকে হাঁস ও মুরগীর ছানা দেওয়ায় নাম করে স্বজন, পোষন দূর্নীতী চলছে। বেছে বেছে নিজেদের দলের লোকেদের দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের পাওয়ার কথা, তারা পাচ্ছেন না।” জেলাপরিষদের মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ বিভাগের কর্মাধক্ষ্য চঞ্চল দেবনাথ বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। হাঁস ও মুরগির ছানা বিলির সময় প্রাপকের রাজনৈতিক পরিচয় দেখা হয় না। গরিব মানুষকেই দেওয়া হয়।” তিনি জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে তিন লক্ষ হাঁস-মুগির ছানা বিলি করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy