পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার, জেলাশাসক পি উলাগানাথন (ডান দিকে)।
আশঙ্কা মিথ্যে হলে কার না ভাল লাগে!
সোমবার দুপুর পর্যন্ত কাঁটা হয়েছিলেন ওঁরা। বহরমপুর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভাতেও পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার ও জেলাশাসক পি উলগানাথন রীতিমতো শঙ্কায় ছিলেন— ‘এই বুঝি ম্যাডাম ধমক দিয়ে বসেন!’
ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল রবীন্দ্রসদনে প্রশাসনিক বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রী নানা বিষয়ে কথা বলছিলেন। তার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী আচমকা বলেন, ‘‘দু’একটি বিষয়ে একটু খামতি থাকলেও, উলগা রিয়েলি ভাল কাজ করছে।’’ তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘ডিএম ও এসপি দু’জনেই খুব ভাল কাজ করছে। দৌলতাবাদের দুর্ঘটনার দিনও দেখেছি, দু’জনেই ভাল কাজ করেছে।’’
এরপরে শুধু পুলিশ সুপার কিংবা জেলাশাসকই নন, স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন দুই দফতরের অন্য আধিকারিকেরাও। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছেন, ‘‘পড়শি জেলা নদিয়ায় পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়াকে যে ভাবে তুলোধোনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, সে কথা আজও পুলিশ মহলে মুখে মুখে ঘুরছে। মুর্শিদাবাদে এসে যে মুখ্যমন্ত্রী কী বলবেন তা নিয়ে সকলেই শঙ্কায় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত কপালে বকুনির বদলে যে প্রশংসা লেখা ছিল, কে জানত!’’
জেলা প্রশাসনের এক কর্তাও কবুল করছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে রীতিমতো চাপে ছিলেন জেলাশাসকও। গত কয়েক দিন দিনরাত এক করে তিনি নানা রিপোর্ট তৈরি করেছেন, গভীর রাত পর্যন্ত অফিসে বসে কাজ করেছেন। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী প্রশংসায় তিনি উচ্ছ্বসিত।’’
এ দিন হরিহরপাড়ার বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যালের কাছে তাঁর এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। বিডিও-র উত্তরে খুশি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাহ্, ধন্যবাদ।’’ এ সব দেখে আর ঝুঁকি নেননি নির্বাচিত এক জনপ্রতিনিধি। তিনি বলছেন, ‘‘ইচ্ছে ছিল, ম্যাডা়মকে একটা কলেজের কথা বলার। কিন্তু দেখলাম, দরাজ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশংসা করছেন। মেজাজও ভাল। তাই কিছু বলে তাঁকে আর চটাতে চাইনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy