—নিজস্ব চিত্র।
পুলিশের কথায়— রীতিমতো লাইসেন্স প্রাপ্ত কারখানা রৌশন শেখের। কিন্তু নিছক আতস বাজির কাখানায় যে ধরনের মশলা মজুত থাকার কথা ফরিদপুরের ওই বিস্ফোরণ সে কথা বলছে না। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘স্থানীয় পুলিশকে ‘খুশি’ করে এ ধরনের বাজি কারখানার বোলবোলাও ওই এলাকায়।’’ রৌশনের কারখানাও সে ভাবেই চলত বলে স্থানীয় গ্রামবাসীরাও জানাচ্ছেন। ঘটনাস্থলে এসে বিস্ফোরণের ধাক্কা দেখে চমকে গিয়েছিল পুলিশও। দেওয়াল ভেঙে উড়ে গিয়েছে বাড়ির ছাদ। রাহুল শেখের দেহ পড়ে আছে বাড়ি থেকে অন্তত পাঁচশো মিটার দূরে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, বিস্ফোরণেরই উড়ে গিয়েছিল ওই কিশোর। তার গলার কাছে যে ক্ষত দেখা গিয়েছে, তা স্পষ্ট শকেটের ক্ষত। বাজির আগুনে এই ভাবে জখম হওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করেন পুলিশ কর্মীরা। ডান হাতও উড়ে গিয়েছে, বোমার মশলা ছাড়া তা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন পুলিশের কর্তারা।
বাড়ির আশপাশে যা পাওয়া গিয়েছে— লোহার কলের পাইপ পাথর, পেরেক, বোমা তৈরির সব উপকরণই মজুত ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা আক্কাস শেখ বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি এখানে শকেট বোমা বিক্রি হয়। তবে সরাসরি নয়। তারা লোক মারফত তা চালান দিত।’’ পুলিশ কি এ সব কিছুই জানত না? জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘স্থানীয় থানার মদত ছাড়া এমন হতে পারে না। পুলিশ চোখ বুজে থাকার ফলেই এমন কাণ্ড হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy