বিদায় চোখের জলে। নিজস্ব চিত্র
ধোপদুরস্ত পোশাকের নেতা থেকে হাটুরে গ্রামীণ মানুষ— মুঠো মুঠো মাটিতে জন্মভূমি শিয়ালমারায় সমাধিস্থ হলেন সদ্য প্রয়াত তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন।
বুধবার বৃষ্টিভেজা দুপুরে তাঁর শেষযাত্রায় আমজনতার ঢল নামলেও তাঁর দল তৃণমূলের ‘হেভিওয়েট’ নেতা-মন্ত্রী কেউ ছিলেন না।
মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র অশোক দাস অবশ্য দাবি করছেন, ‘‘মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার নার্সিং হোমে গিয়ে মান্নানদাকে শেষশ্রদ্ধা জানিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম এবং পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।’’ তবে, ওই দিন রাতে, মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফোনে মান্নান হোসেনের স্ত্রী বুলবুল দাস ও ছেলে সৌমিক হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন। দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে সৌমিককে জানান, বিদেশ থেকে ফিরে আগামী শনিবার তিনি সৌমিকের মায়ের সঙ্গে দেখা করবেন।
মান্নান হোসেনের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে তৃণমূলের ‘হেভিওয়েট’ নেতামন্ত্রীর অভাব অবশ্য পূরণ করেন প্রয়াত মান্নান হোসেনের রাজনৈতিক বিরোধীরা। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দলীয় মিছিল শেষে মান্নান হোসেনকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসাপাতলে পৌঁছন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেখানে তাঁর পৌঁছনোর কিছু ক্ষণ আগেই মান্নানের দেহ নিয়ে কনভয় রওনা দেয় বহরমপুরের উদ্দেশ্যে। অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘বুধবারও জেলার বাইরে দলীয় কর্মসূচি থাকায় আমি বহরমপুর যেতে পারিনি। মান্নানদাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক ও ফুলের মালা দিয়ে হুমায়ুন কবীরকে শিয়ালমারা গ্রামে পাঠিয়েছি।’’
প্রাক্তন মন্ত্রী, তৃণমূলত্যাগী হুময়ুন কবীর ছাড়াও কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি, তথা বিধায়ক আবু তাহের খান, কংগ্রেসের বিধায়ক ফিরোজা বেগম বুধবার শিয়ালমারা গ্রামে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান। প্রয়াত তৃণমূল নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে এ দিন দুপুরে শিয়ালমারা গ্রামে গিয়েছিলেন সিপিএম জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মুজাফ্ফর হোসেন ও বিজেপি-র জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy