অফিসে লোকাভাব। নিয়োগের সম্ভাবনাও নেই। অতএব, সার্কেল অফিসে কাজ চালানোর জন্য তলব হয়েছে আশাপাশের বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলের সাত জন শিক্ষকের।
ফরাক্কা সার্কেলের সহকারী স্কুল পরিদর্শকের এমন নির্দেশে ওই স্কুলগুলিতে পঠন-পাঠন শিকেয় উঠেছে। তা নিয়ে অবশ্য হেলদোল নেই ফরাক্কা অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক চন্দ্রিমা দে’র। তিনি স্পষ্টই জানাচ্ছেন, অফিস চালাতে গেলে এ ছাড়া তাঁর আর কোনও বিকল্প ছিল না।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ ডিসেম্বর ফরাক্কা সার্কেল অফিসে কাজের জন্য চন্দ্রিমা সাত শিক্ষককে অফিসের কাজে স্কুল থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ পাঠান বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে। অফিসের কাজে এ ভাবে শিক্ষক তোলা যায় না কি? আপত্তি জানিয়েছিল তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন। তবে, সে সব ওজর-আপত্তিতে কান দেননি চন্দ্রিমা। তিনি পরিস্কার জানিয়ে দেন, অফিস তিনি বলেন, “এ ছাড়া উপায় কী বলুন!’’ তবে, যে উপায় তিনি বেছে নিয়েছেন, তা যেন ঠিক নয়, জানিয়েছেন জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক নীহারকান্তি ভট্টাচার্য। স্পষ্টই বিরক্ত নীহারবাবু বলেন, ‘‘এটা তো কোনও অজুহাত হতে পারে না। মাস দুয়েক হল কাজে যোগ দিয়েই তিনি অদ্ভুত সব কাণ্ডকারখানা শুরু করেছেন। তাঁকে দ্রুত ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে।’’
তবে, এবিপিটিএ’র জেলা সভাপতি আব্দুস সালাম জানান, ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষা দফতরের কোনো কর্মী নেই ফরাক্কা চক্র অফিসে। কয়েকজন শিক্ষক স্কুল থেকে দুপুরে অফিসে এসে শিক্ষকদের বেতনের বিল-সহ যাবতীয় কাজ করেন। এটাই রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফরাক্কা চক্রের তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের নির্দেশ রয়েছে স্কুলের শিক্ষকেরা কোনও বিশেষ পরিস্থিতিতে এসআই অফিসে শিক্ষকদের ডেকে কাজে যোগ দিতে বলা যেতে পারে তবে তা বিকেল চারটেয় স্কুল শেষ হওয়ার পরে। তা বলে সকাল থেকে শিক্ষকতার বদলে এসআই অফিসে ফাইল গোছানোর কাজ কোনও মতেই শিক্ষকদের নয়।’’
নীহারকান্তি বলেন, “যে কোনো পরিস্থিতিই হোক না কেন কোনও অবস্থাতেই শিক্ষককে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে এসআই অফিসের কাজে লাগানো যাবে না। এর জন্য সংসদের অনুমতি নিতে হয়। ফরাক্কা চক্রের এস আইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে শিক্ষকদের স্কুলে ফেরত পাঠাতে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy