জাকির হোসেন
গরু ও মাদক পাচারকারীরা তাঁকে খুনের হুমকি দিচ্ছে বলে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সামনে অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী তথা মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি জাকির হোসেন। বুধবার ‘পাচারকারীদের’ নামধাম জানিয়ে পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার ও রঘুনাথগঞ্জ থানার আইসি সৈকত রায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন তিনি।
বাংলাদেশ সীমান্তে গরু বা মাদক পাচার নতুন কিছু নয়। কিন্তু তার জন্য মন্ত্রীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ কার্যত নজিরবিহীন। জাকির লিখিত অভিযোগে পুলিশের একাংশকেও এর জন্য দায়ী করেছেন। রঘুনাথগঞ্জে এ দিন তিনি প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেন, “গরু পাচারকারীরাদের মদত দিচ্ছে পুলিশের একাংশ। যে সব নিরীহ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক আমায় ভালবাসেন, তাঁদের মাদক ও অস্ত্রের মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওই অংশের মদতেই দুষ্কৃতীরা আমায় হুমকি দিতে সাহস পাচ্ছে।”
রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে রাজ্যেরই এক মন্ত্রী এ ভাবে আঙুল তুলছেন, এই ঘটনাও হালফিলে বিশেষ ঘটেনি। তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘নিতান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। মন্তব্য করব না।’’
অভিযোগে মন্ত্রী লিখেছেন, গরু ও মাদক পাচারের বিরোধিতা করায় ‘পাচারকারী’ এনামুল রহমান ওরফে খুদু এবং তাঁর দুই ভাগ্নে পিন্টু ওরফে হুমায়ুন কবির ও অন্টু ওরফে মেহেদি হাসান তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছেন। এঁদের আদত বাড়ি লালগোলা থানার রামচন্দ্রপুর জোলহাপাড়ায় হলেও এখন রঘুনাথগঞ্জের ওমরপুর মোড়ে থাকেন। তাঁরা পুলিশের একাংশের ঘনিষ্ঠ বলেই মন্ত্রীর দাবি।
এসপি ও রঘুনাথগঞ্জ থানার আইসি ফোন ধরেননি। বার্তা পাঠিয়ে সাড়া মেলেনি। তিন অভিযুক্তের মোবাইল বন্ধ। এক পুলিশকর্তার দাবি, খুদু ও তাঁর ভাগ্নেরা এক দিনের বেশি একই মোবাইল সিম ব্যবহার করেন না। কারও ফোনও ধরেন না। নিত্যনতুন সিম থেকে ফোন করে কাজের কথা সারেন। জাকিরের অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রের ক্ষমতাসীনদের মদতে এরা চোরাকারবার চালাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy