প্রতীকী ছবি।
করাত কলের ভিতরে ঢুকে গুলি করে কুপিয়ে খুন করা হল এক তৃণমূল নেতাকে। নিহতের নাম হেতাই শেখ (৫০)। তাঁর বাড়ি নাকাশিপাড়া থানার গোয়ালচাঁদপুর এলাকায়। মঙ্গলবার দুপুর পৌঁনে তিনটে নাগাদ তিনি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে নাগাদি বাজারের কাছে করাত কলে এসেছিলেন কাঠ চেরাই করতে। সেই সময় আচমকা দুষ্কৃতীরা ঢুলে তাকে একেবারে কাছ থেকে বুকে গুলি করে। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে কোপায়। এই দৃশ্য দেখে ভয়ে পালিয়ে যান করাতকলের কর্মীরা।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক তাপস সাহা। তিনি বলেন, “নিহত আমাদের দলের বিক্রমপুর অঞ্চলের সহ-সভাপতি ছিলেন। সিপিএমের পায়ের তলার মাটি হারিয়ে গিয়েছে বলেই তাকে খুন করেছে।” যদিও পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গোয়ালচাঁদপুর এলাকায় গত তিন বছরে একাধিক খুন ও পাল্টা খুন হয়েছে। মাস কয়েক আগে খুন হয়েছে খোকন শেখ। তার মামা ইদু শেখ কুখ্যাত দুষ্কৃতী। বছর তিনেক আগে পাশের গ্রাম বড়গাছির বাসিন্দা আব্বাস শেখকে খুনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ইদু শেখ গ্রেফতার হয়।
সেই খুনের বদলা নিতেই মাস করেক আগে আব্বাসের মামা ওয়াসাব শেখ দলবল নিয়ে খোকন শেখকে খুন করে বলে অভিযোগ। হেতাই শেখের খুনের ঘটনার সঙ্গে আগের দুটো খুনের কোনও সম্পর্ক আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মাস কয়েক আগে ইদু শেখ জেল থেকে বেরিয়ে এসেছে। নিহত হেতাই শেখের ছোট ছেলে রাহুল শেখের অভিযোগ, “বাবাকে ওরা এর আগেও একাধিক বার খুন করার চেষ্টা করেছে।” কিন্তু কেন বাবকে খুন করবে? রাহুলের দাবি,“আমার বাবা প্রথম থেকেই তৃণমূল করছে। এলাকার নেতা। সেই কারণেই তাকে খুন করা হল।” যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “তৃণমূলে নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরেই এই খুন। এসপি বদল না করে মুখ্যমন্ত্রী দলের লোককে সামলান। তাহলে খুনখারাপি বন্ধ হবে।” পুলিশ সুপার সন্তোষ পান্ডে বলেন, “খুনের কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy