কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজে।
ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক আর ইউনিট সভাপতি— টিএমসিপি-র দুই নেতার দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই ধোঁয়াচ্ছিল কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজে। শুক্রবার তা বোমাবাজির চেহারা নিল। শুক্রবার কলেজে তখন পরীক্ষা চলছে। দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ হঠাৎই গেটের কাছে পরপর দু’টো বোমা ফাটে। দা, লাঠি, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে এক দল যুবক। ক্যান্টিনে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়। শূন্যে এক রাউন্ড গুলিও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। কলেজের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অমরেশ মণ্ডল বলছেন, “বোমার শব্দ শুনে আমরা বেরিয়ে আসি। কয়েকটা ছেলের হাতে অস্ত্র ছিল। তবে ওদের চিনতে পারিনি।” কোতোয়ালি থানার পুলিশ এলে তাঁরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এর আগেও ওই কলেজে একাধিক বার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোলের ঘটনা ঘঠেছে। কিন্তু এত বড় ঝামেলা এই প্রথম। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৈকত ঘোষের ঘনিষ্ঠ কিছু ছাত্রনেতা হামলার সময়ে কলেজে ছিলেন। তাঁরা প্রাণভয়ে পালান। এঁদের অন্যতম, দ্বিতীয় বর্ষের সৌরভ দাসের অভিযোগ, “ওদের ভয়ে এত দিন কলেজেই ঢুকতে পারছিলাম না আমরা। দু’দিন ধরে ঢুকছি। তাতেই ওদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই এই হামলা।” সৈকতের দাবি, “ওরা বহিরাগতদের নিয়ে এসে কলেজে নানা অসামাজিক কাজকর্ম করে। ভর্তির সময়ে লক্ষ-লক্ষ টাকা তোলে। আমরা সে সবের বিরোধিতা করেছি, তাই এই হামলা।”
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে টিএমসিপি-র কলেজ ইউনিটের সভাপতি সুজয় হালদার বলেন, “সৈকতরা জোর করে কলেজ দখল করে রেখেছে। নানা আর্থিক দুর্নীতি করছে। কলেজে ঢুকতে দিচ্ছে না। আজ ঢুকতে গেলে ওরাই আমাদের বোমা মারে। হামলা চালায়।’’
টিএমসিপির জেলা সাভাপতি অয়ন দত্ত বলেন, “যারা এ দিন কলেজে ঢুকে গোলমাল করেছে, তারা আদৌ আমাদের সংগঠনের কি না তা খতিয়ে দেখছি।” অভিযোগের ভিত্তিতে তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আর এক দিকে আছে সংগঠনেরই কলেজ ইউনিটের সভাপতি সুজয় হালদার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy