প্রতীকী ছবি।
সাকুল্যে আড়াইশো টাকা! আর সেই পাওনা টাকার জন্যই নিকট আত্মীয়দের হাতে খুন হলেন এক যুবক। রবিবার রাতে ধুবুলিয়ার শোনডাঙায় ওই ঘটনার পরে নিহত সোনাজুল শেখ ওরফে সঞ্জুর (২৮) পরিবার পুলিশের কাছে এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার সন্তোষ পান্ডে বলছেন, ‘‘সামান্য আড়াইশো টাকার জন্য খুন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, নিহতের কাকার ছেলেরাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।” সোমবার রাত পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি। সোনাজুল পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাঁর দাদা আজিত আলি শেখও ওই একই পেশায় আছেন। আজিতের অধীনে সোনাজুল-সহ তাঁর কাকা-জেঠার ছেলেরাও কাজ করেন। সম্প্রতি আজিত চাকদহের একটি বাড়িতে পাথর বসানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে সপ্তাহ খানেক আগে।
পুলিশ জানায়, আজিতের কাছে এক দিনের পারিশ্রমিক, ২৫০ টাকা বকেয়া ছিল তাঁরই এক আত্মীয়ের। রবিবার সেই টাকা চাইতে এসে শুরু হয় বচসা, হাতাহাতি। তখনকার মতো পড়শিরা ব্যাপারটা মিটিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পরে ওই আত্মীয়দের কয়েক জন ফের আজিতের বাড়িতে চড়াও হন। সেই সময় আজিত বাড়িতে ছিলেন না। তখন সোনাজুলকে ঘর থেকে বের করে এনে রাস্তায় হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। বাধা দিতে গিয়ে জখম হন আজিত-সহ দু’জন। তিন জনকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পথেই মারা যান সোনাজুল। হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে তাজু শেখ বলেন, “বিশ্বাস করতে পারছি না যে, সামান্য ক’টা টাকার জন্য এ ভাবে ভাইকেই কুপিয়ে খুন করে দেবে।” সোমবার রাত পর্যন্ত আজিতকে সোনাজুলের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। সোনাজুলের বছর সাতেকের এক মেয়ে আছে। চোখের সামনে স্বামীকে খুন হতে দেখে কার্যত বাকরুদ্ধ স্ত্রী রুম্পা। তিনি মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছেন। এমন ঘটনায় অবাক পড়শিরাও। তাঁরা বলছেন, ‘‘নিজেদের লোকজন নিয়েই ওরা কাজ করে। সামান্য ক’টা টাকার জন্য এ ভাবে কেউ খুন করতে পারে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy