Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

সাত দিন ধরে মিড-ডে মিল বন্ধ স্কুলে, ঘেরাও বিডিও

স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের গণ্ডগোলের জেরে গত সাত দিন ধরে বহরমপুরের নগড়াজল হাই স্কুলে বন্ধ রয়েছে মিড-ডে মিলের রান্না। ওই ঘটনার জেরে মহকুমা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বহরমপুরের বিডিওকে ঘেরাও করে রাখা হয়।

ব্লক অফিসে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের।—নিজস্ব চিত্র।

ব্লক অফিসে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৪ ০১:১৭
Share: Save:

স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের গণ্ডগোলের জেরে গত সাত দিন ধরে বহরমপুরের নগড়াজল হাই স্কুলে বন্ধ রয়েছে মিড-ডে মিলের রান্না। ওই ঘটনার জেরে মহকুমা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বহরমপুরের বিডিওকে ঘেরাও করে রাখা হয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্য থেকে স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। শুক্রবার থেকে স্কুলে রান্না চালু হবে বলে বিডিও আশ্বাস দিলে ঘেরাও উঠে যায়। বিডিও বর্ণমালা রায় বলেন, “ওই স্কুলে তিনটে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা মিড-ডে মিলের রান্নার কাজে জড়িত। এলাকার অন্য একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা ওই স্কুলের মিড-ডে মিলের রান্না করতে চান। তাই নিয়ে বিবাদের জেরে গত ৫ মার্চ থেকে স্কুলে মিড-ডে মিলের রান্না বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি জানার পরেই সমাধানসূত্র বের করার জন্য এদিন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক ছিল। শুক্রবার থেকে মিড-ডে মিলের রান্না চালু করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নগড়াজল হাই স্কুলের মিড-ডে মিলের রান্না করার জন্য ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিখা, নবদিশা ও প্রমোদ দাশগুপ্ত নামে তিনটে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই মতো গত ২০১১ সাল থেকে ওই স্কুলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা মিড-ডে মিলের রান্না করছেন। সম্প্রতি ওই স্কুলে অন্য একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীও মিড-ডে মিলের রান্নার কাজ করতে চাইছে বলে অভিযোগ। ওই গোষ্ঠীর দাবি, মিড-ডে মিলের রান্না করার জন্য ব্লক প্রশাসনের যে তালিকা রয়েছে, তাতে তাদের নাম রয়েছে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন জানান, গত ৫ মার্চ স্কুলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের বিবাদের জেরে রান্না বন্ধ হয়ে যায়। শিখা গোষ্ঠীর সদস্য ফরিদা বিবি বলেন, “স্কুল চলাকালীন সিপিএমের লোকজনের উপস্থিতিতে অন্য একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা হামলা চালায়। ব্যাপক মারধরও করা হয়। মিড-ডে মিলের রান্না ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা। গুরুতর জখম হয়ে আমি ও আমাদের এক জন সদস্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে চার দিন ভর্তি ছিলাম। গোটা বিষয়টি বহরমপুর থানায় লিখিতভাবে জানাই। কিন্তু পুলিশ বা প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।”

বহরমপুর মহকুমা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি আশিস সরকার বলেন, “গত সাত দিন ধরে স্কুলে মিড-ডে মিলের রান্না বন্ধ। বিষয়টি জানার পরেও বিডিও-র পক্ষ থেকে স্কুলে কেউ যায়নি। তাই এদিন বাধ্য হয়ে বিডিও-কে ঘেরাও করে রাখা হয়।”

স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক সিপিএমের আশরাফুল শেখ বলেন, “স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের বিবাদের জেরে স্কুলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় পরিচালন সমিতির বৈঠক ডেকে মিড-ডে মিলের রান্না বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রশাসনের নির্দেশ পেলে ফের ওই মিড-ডে মিলের রান্না চালু করা হবে বলেও জানানো হয়। বিডিও নির্দেশ দেওয়ায় মিড-ডে মিলের রান্না চালু করার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE