Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

আজও প্রেক্ষাগৃহ হল না সৈয়দাবাদ-কাশিমবাজারে

পৌনে দু’শো বছরেরও আগের কথা। কলকাতার বাইরে মফস্সল বাংলা থেকে তখন কোনও সংবাদপত্র প্রকাশ করার কথা কেউ ভাবতেই পারতেন না। অভাবনীয় সেই ঐতিহাসিক কাজটি করেন কাশিমবাজারের তৎকালীন রাজা ১৬ বছরের কৃষ্ণনাথ রায় (১৮২২-১৮৪৪)। তিনি তাঁর গৃহশিক্ষক উইলিয়াম লামব্রিকের সম্পাদনায় ১৮৩৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাশিমবাজার থেকে প্রকাশ করেন ‘দি মুর্শিদাবাদ নিউজ’।

সৈয়দাবাদের এই রাজবাড়িতেই প্রেক্ষাগৃহ করতে চায় পুরসভা।—নিজস্ব চিত্র।

সৈয়দাবাদের এই রাজবাড়িতেই প্রেক্ষাগৃহ করতে চায় পুরসভা।—নিজস্ব চিত্র।

অনল আবেদিন
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:১৬
Share: Save:

পৌনে দু’শো বছরেরও আগের কথা। কলকাতার বাইরে মফস্সল বাংলা থেকে তখন কোনও সংবাদপত্র প্রকাশ করার কথা কেউ ভাবতেই পারতেন না। অভাবনীয় সেই ঐতিহাসিক কাজটি করেন কাশিমবাজারের তৎকালীন রাজা ১৬ বছরের কৃষ্ণনাথ রায় (১৮২২-১৮৪৪)। তিনি তাঁর গৃহশিক্ষক উইলিয়াম লামব্রিকের সম্পাদনায় ১৮৩৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাশিমবাজার থেকে প্রকাশ করেন ‘দি মুর্শিদাবাদ নিউজ’। ডিরোজিও-র ভাবশিষ্য কৃষ্ণনাথ তার ২ বছর পরে ১৮৪০ সালের ১০ মে প্রকাশ করেন ‘মুর্শিদাবাদ সম্বাদপত্রী’। গুরুদয়াল চৌধুরী সম্পাদিত ওই পত্রিকাটিও কলকাতার বাইরে মফস্সল বাংলা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সংবাদপত্র। অথচ সেই কাশিমবাজারের সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চা আজ ধুঁকছে স্রেফ একটি প্রেক্ষাগৃহের অভাবে।

সোয়াশো বছর আগে প্রজাদের মনোরঞ্জনের জন্য কলকাতার দলে নিয়ে এসে যাত্রাপালা মঞ্চস্থ করাতেন কৃষ্ণনাথের বালবিধবা স্ত্রী মহারানি স্বর্ণময়ীদেবী। স্বর্ণময়ীদেবীর মৃত্যুর পরে সিংহাসন বসলেন নিঃসন্তান স্বর্ণময়ীদেবীর ভাগ্নে মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী। তার কয়েক বছর পরের কথা। ১৮৯৯ সাল। পরাধীন ভারতবর্ষের কোথাও তখন নাটক নিয়ে কোনও স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সেই পরাধীন ভারতবর্ষের প্রত্যন্ত জেলা মুর্শিদাবাদের কাশিমবাজারে অকল্পনীয় ঘটনা ঘটালেন মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী। নাট্যচর্চার জন্য ১৮৯৯ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘দি কাশিমবাজার স্কুল অব ড্রামা’। সেই নাট্যবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন নাট্যাচার্য গিরিশচন্দ্র ঘোষের বাগবাজারের নাট্যদলের বিশিষ্ট অভিনেতা গোবর্ধন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অভিনয় করেছেন গিরিশচন্দ্র ঘোষ, নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ি, অহীন্দ্র চৌধুরী, দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। অথচ সেই কাশিমবাজারে আজ নাট্যাভিনয়েরও কোনও মঞ্চ নেই।

বঙ্গভঙ্গ, বয়কট ও স্বদেশী আন্দোলনে অবিভক্ত বাংলা তখন উত্তাল। ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের তখন স্বণর্যুগ। কিন্তু গুরুগৃহ ছাড়া সঙ্গীতে তালিম নেওয়ার কোনও প্রতিষ্ঠান তখনও অবিভক্ত ভারতের কোথাও গড়ে উঠেছে, এমন নজির ইতিহাসে নেই। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সেই যুগসন্ধিক্ষণে মহরাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী প্রতিষ্ঠা করেন ‘বহরমপুর সংগীত সমাজ বিদ্যালয়’। মুর্শিদাবাদের সংগীত ইতিহাসের গবেষক রমাপ্রসাদ ভাস্কর তাঁর প্রবন্ধ ‘সংগীত চর্চায় বহরমপুরঃ সেকাল ও একাল’-এ লিখেছেন, “বাংলাদেশে প্রথম প্রতিষ্ঠিত এই বৈচিত্র্যময় অবৈতনিক সংগীত বিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ হিসাবে যোগ দেন সংগীতাচার্য রাধিকাপ্রসাদ গোস্বামী। প্রথমে কাশিমবাজারে ও পরে খাগড়ায় চৌরাস্তার কাছে এই বিদ্যালয় স্থানান্তরিত হয়। এই সংগীত বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি কীর্তন শিক্ষাকেন্দ্রও স্থাপিত হয়েছিল। সংগীত বিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষার্থীদের মধ্যে গিরিজাশঙ্কর চক্রবর্তী অন্যতম।”

বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে ১৯০৭ সালের ৩-৪ নভেম্বর ২ দিন ধরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে প্রথম বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কাশিমবাজার রাজবাড়িতে। সাহিত্য সম্মেলনের সঙ্গে সঙ্গীত সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতিথযশা সাহিত্যিক প্রয়াত সাবিত্রীপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী’ গ্রন্থে লিখেছেন, “একদিকে সাহিত্য সম্মিলনে বাংলার শ্রেষ্ঠ মনীষীগণ, অন্যদিকে সংগীত সম্মিলনীতে সমাগত ভারতের শ্রেষ্ঠ সংগীত বিশারদ ও মন্ত্রীগণ সকলে মিলিয়া এই যুক্ত অধিবেশনের সৌষ্ঠব বর্ধন করিয়াছিলেন। এরূপ যুক্ত ভাবে সাহিত্য ও সংগীত সম্মিলনীর বিরাট অধিবেশন কেবল বাংলা কেন ভারতবর্ষেও এই প্রথম বলিলে অত্যুক্তি হয় না।”

এ হেন সঙ্গীত-ঐতিহ্যের কাশিমবাজার, বা খাগড়ায় সঙ্গীত পরিবেশনের মতো মঞ্চটুকুই এখন নেই। ফলে বেশ কয়েক বছর ধরে সংস্কৃতির শহর বহরমপুর জুড়ে আওয়াজ উঠেছে, “খাগড়া-সৈয়দাবাদ এলাকায় প্রেক্ষাগৃহ চাই! চাই সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র!” অথচ একদা বিশ্বজুড়ে মুর্শিদাবাদ খ্যাত ছিল কাশিমবাজার ও লাগোয়া কালিকাপুর, সৈয়দাবাদ, ফরাসডাঙা, কুঞ্জঘাটা, ঘাটবন্দর এবং খাগড়া এলাকার নামে। তখন বহরমপুর শহরের পরিচিতি ছিল নগন্য, নামমাত্র। সংস্কৃতি ছাড়াও বাণিজ্যের জন্য একদা কাশিমবাজার-সৈয়দাবাদ-ফরাসডাঙার খ্যাতি ছিল ভুবনজোড়া।

সৈয়দাবাদ-কালিকাপুর সম্পর্কে বলতে গিয়ে রেভারেন্ড লঙের ‘দি বাঙ্ক অব ভাগীরথী’ নামের প্রবন্ধের উল্লেখ করে মুর্শিদাবাদ জেলার ইতিহাস গবেষক বিজয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘শহর বহরমপুর’ গ্রন্থে লিখেছেন, “ওলন্দাজগণই সম্ভবতঃ সর্বপ্রথম এ অঞ্চলে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আসেন এবং কালিকাপুর কুঠি স্থাপন করেন। ১৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের আগেই এই কুঠি স্থাপিত হয়েছিল।...বর্ণিয়ের উল্লেখ করেছেন ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে এই কুঠিতে ৭০০-৮০০ জন কর্মী কাজ করত।” ১৬৫৮ সালে কাশিমবাজারে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কুঠি স্থাপন করে।

বিজয়বাবু লিখছেন, “১৬৮১ সালে জব চার্নক যখন এই কুঠির অধ্যক্ষ, তখন সমগ্র বাংলায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ২৩০,০০০ পাউন্ড লগ্নি করে, তার মধ্যে এক কাশিমবাজারেই লগ্নি ছিল ১৪০,০০০ পাউন্ড। এ থেকেই কাশিমবাজারের গুরুত্ব বোঝা যায়।” সৈয়দাবাদে ১৬৬৫ সালে আর্মেনিয়রা কুঠি স্থাপন করে। ওই কুঠি থেকে সামান্য কিছুটা দূরে ফরাসডাঙায় ১৬৬৮ সালে ফরাসিরা কুঠি স্থাপন করে। এমন একটি ঐতিহ্যসমৃদ্ধ এলাকার বাণিজ্য থেকে সংস্কৃতি— সবটাই আজ ফসিলে রূপান্তরিত হয়েছে। তার কারণ প্রধানত ২টি। প্রথমত, রাজনৈতিক। দ্বিতীয়ত, ভৌগলিক।

পাশেই গঙ্গা। পোশাকি নাম ভাগীরথী। সেই নদীর পাড় ধরে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর গড়ে উঠেছে শহর বহরমপুর। দক্ষিণে গোরাবাজার শ্মশানঘাট। উত্তরে কুঞ্জঘাটা-ফরাসডাঙা। উত্তর-দক্ষিণ বরাবর গড়ে ওঠা রেললাইনের মতো অপ্রসস্থ এই শহরের দৈর্ঘ প্রায় ৭ কিলোমিটার। গোরাবাজার রাজা মিঞার মোড় থেকে উত্তর দিকে প্রায় ৫ কিলোমিটার যাওয়ার পর খাগড়া সোনাপট্টির মোড়।

মোড় থেকে পূর্বদি কে দৈহাট্টা রোড ধরে পাউন্ড রোড হয়ে দয়ানগর ও হোতার সাঁকো পার হলেই পা ছোঁবে সপ্তদশ শতাব্দীর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যশহর ‘বন্দর কাশিমবাজার’- এর মাটি। খাগড়া সোনাপট্টি থেকে কাশিমবাজারের শেষপ্রান্ত ভাটপাড়া পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ৪ কিলোমিটার। ইংরেজ শাসনের সময়ে গড়েছে এই শহরের দক্ষিণপ্রান্তের গোরাবাজার, স্বর্ণময়ী ও বহরমপুর। উত্তর প্রান্তের কাশিমবাজার কালিকাপুর, ফরাসডাঙা, কুঞ্জঘাটা, সৈয়দাবাদ ও খাগড়া এলাকার থেকে দক্ষিণ প্রান্তের গোরাবাজার, স্বর্ণময়ী ও বহরমপুর অনেক অর্বাচীন।

অবিভক্ত বাংলার বাণিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতিতে একদা পথ দেখানো শহরের দক্ষিণ প্রান্তের সংস্কৃতির হাল এখন মরা গাঙের মতো। এই দশাপ্রাপ্তির প্রধান কারণ, সামন্তীয় শাসনের অবলুপ্তির পথ ধরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পত্তনের সঙ্গে বিদায় নিয়েছে সংস্কৃতিচর্চায় রাজরাজাদের বদান্যতা। শূন্যস্থান পুরণে শহরের উত্তরে সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেনি কোনও সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র বা প্রেক্ষাগৃহ। লম্বাটে শহরের উত্তরে কোনও প্রেক্ষাগৃহ না থাকলেও দক্ষিণে রয়েছে রবীন্দ্রসদন। ফলে দক্ষিণপ্রান্তের সৈয়দাবাদ-কুঞ্জঘাটা-ফরাসডাঙা, বা উত্তর-পূর্ব দিকের কাশিমবাজারের লোকজনকে রবীন্দ্রসদনে যাতায়াতের মাথাপিছু যানবাহন ভাড়া গুনতে হবে ১০০-১৫০ টাকা। তার উপর রয়েছে রাতের বেলায় রিকশা ও টুকটুক চালকদের মর্জি। উত্তরের ওই এলাকায় রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে উত্তরের প্রেক্ষাগ্রহের অভাব আর দক্ষিণের বীন্দ্রসদনের দূরত্ব ও যানবাহন সমস্যা। ফলে উত্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি সংস্কৃতিচর্চা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত।

সেই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন সৈয়দাবাদ বা খাগড়া এলাকায় একটি প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ। নাটক, সঙ্গীত, আবৃত্তি ও সঙ্গীত- সহ বহরমপুর শহরের সব ধরণের সাংস্কৃতিক সংস্থা এককাট্টা হয়ে বহুবার জেলাপ্রশাসন ও পুরসভার কাছে সেই নির্মাণের দাবি জনিয়েছে। এমনকী দাবি আদায়ের আন্দোলন হিসাবে খাগড়া এলাকায় কখনও অস্থায়ী মঞ্চ গড়ে, কখনও মুক্তমঞ্চে বছর দুয়েক থেকে নাটক মঞ্চস্থ করছে বহরমপুর রেপার্টরি থিয়েটার।” ওই নাট্যসংস্থার কণর্ধার প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “সুদূর অতীতের কথা ছেড়েই দিন, সাম্প্রতিক অতীতে, এমনকি বর্তমান সময়েও বহরমপুর শহরের উত্তরপ্রান্তের ভূমিপুত্র ‘তিসরি’ সিনেমার পরিচালক বাসু ভট্টাচার্য, যাত্রাভিনেতা শেখর গাঙ্গুলি, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত তিন গুরু-- হাবল ঠাকুর, আবু দাউদ, অরুণ ভাদুড়ি। রত্নগর্ভা সেই মাটিতে সরকারি উদ্যোগে একটি প্রেক্ষাগ্রহ থাকবে না! এটা বড় বেদনার ও লজ্জার।”

বহরমপুরের পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য বলেন, “প্রেক্ষাগৃহ করার মতো ওই এলাকায় কেনা যাবে এমন কোনও জমি নেই। তবে সৈয়দাবাদের রাজবাড়িতে থাকা জেলা গ্রন্থাগার কয়েক বছর আগে শহরের দক্ষিণপ্রান্তের ব্যারাক স্কোয়ার এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছে। প্রেক্ষগৃহ করার জন্য ওই রাজবাড়ি চেয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে। বাড়িটি পেলে পুরসভার পক্ষ থেকে অত্যাধুনিক প্রেক্ষাগৃহ করে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই আবেদনে প্রশাসনের সাড়া মেলেনি।” অতিরিক্ত জেলাশাসক, তথা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের জেলা আধিকারিক অরবিন্দ মিনার সাফ জবাব, “ওই রাজবাড়ি পুরসভাকে দেওয়া যায় নাকি! ওটা হেরিটেজ সম্পদ।” বহরমপুর মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস অবশ্য ক্ষীণ আশার আলো দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, “উত্তম প্রস্তাব। এই প্রস্তাব আমার কাছে এলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সম্মত করতে আমি এ ব্যাপার আন্তরিক ভাবে উদ্যোগী হব।”

কেমন লাগছে আমার শহর? নিজের শহর নিয়ে আরও কিছু বলার থাকলে আমাদের জানান। ই-মেল পাঠান district@abp.in-এ। subject-এ লিখুন ‘আমার শহর-নদিয়া মুর্শিদাবাদ’। ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানান: www.facebook.com/anandabazar.abp অথবা চিঠি পাঠান ‘আমার শহর’, নদিয়া মুর্শিদাবাদ বিভাগ, জেলা দফতর আনন্দবাজার পত্রিকা, ৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE