আবার সেই মুর্শিদাবাদ। আবার সেই পাশ কাটাতে গিয়ে উড়ে যাওয়া বাসের জানলায় রাখা হাত।
তবে এ বার আর এক জন নয়। একই বাসের দু’জনের হাত গিয়েছে। মারা গিয়েছেন তাঁদের এক জন।
বুধবার বিকেলে বড়ঞার কুমড়াই মোড়ে কান্দি-সাঁইথিয়া রাজ্য সড়কে ঘটনাটি ঘটে। যাত্রী বোঝাই বাসের একেবারে গা ঘেঁষে যেতে গিয়ে দুই মহিলার হাত ছিঁড়ে নিয়ে যায় ট্রাক।
এঁদের এক জন, খড়গ্রাম থানার কীর্তিপুর গ্রামের রেবিকা বাগদির ডান হাতের কনুই থেকে হাত বাদ গিয়েছে। আপাতত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। যিনি মারা গিয়েছেন, রাত পর্যন্ত তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।
সপ্তাহ দুয়েক আগেই এই জেলারই ইসলামপুর বাজারে দু’টি বাসের রেষারেষির জেরে হাত গিয়েছিল এক মহিলার। তার ক’দিন আগেই কনুই থেকে হাত বাদ যায় বর্ধমানের এক তরুণীর। এর আগে কলকাতাতেও একই ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নগর-বহরমপুর রুটের বাসটি এ দিন নগর থেকে যাত্রী নিয়ে কান্দির দিকে আসছিল। উল্টো দিকে কুলির দিকে যাচ্ছিল থেকে ট্রাকটি। কুমড়াই মোড়ে যাত্রী তোলার জন্য গতি কমিয়েছিল বাসটি। ট্রাকটি একেবারে গা ঘেঁষে চলে আসে। বেগতিক বুঝে বাসের চালক রাস্তা ছেড়ে বাঁ দিকের জমিতে চাকা নামিয়ে দেন। ট্রাকটি প্রায় গা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। বাসের ডান দিকে বসা দুই মহিলার হাত জানলার বাইরে ছিল। হাত ছিঁড়ে চলে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা দু’জনকেই কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে এক মহিলার মৃত্যু হয়। অপর জনকে পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে পাঠানো হয়।
রেবিকার বাড়ির লোকজন জানান, ছেলে পরেশ বাগদি ও নাতনি মল্লিকা বাগদিকে নিয়ে কান্দির কল্যাণপুরে বাপের বাড়িতে একটি শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে আসছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শী পরেশ বলেন, “মা বাসের জানলার পাশে বসে ছিল, আমি ভিতরে। সামনের সিটে আর এক মহিলা ছিলেন কোলে ছেলে নিয়ে। তখনই হুড়মুড় করে ট্রাক এসে পড়ে। চালকের তৎপরতায় ধাক্কা এড়ানো গেলেও মায়ের আর সামনের মহিলার হাত ছিঁড়ে গেল।’’
ঘটনার পরেই ট্রাকচালক পালিয়ে গিয়েছে। বাসের চালক বড় দুর্ঘটনা থেকে যাত্রীদের বাঁচালেও সম্ভবত পুলিশের জেরা এড়াতেই গা ঢাকা দিয়েছেন। পুলিশ দু’জনকেই খুঁজছে। এসডিপিও (কান্দি) রাজকুমার নায়ার বলেন, “ট্রাকচালকই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিকে ধাক্কা মেরেছেন। ট্রাকটির কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy