ধরা-পড়ে। নিজস্ব চিত্র
নদিয়ায় আবারও ধরা পড়ল ভুয়ো ডাক্তার।
এর আগে ভুয়ো ডাক্তার এসেছিল হুগলি আর বার্নপুর থেকে। এ বার উদয় হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থেকে।
পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম বাপি নাথ। তাঁর আদত বাড়ি বনগাঁয় হলেও বর্তমানে তিনি কাঁচরাপাড়ায় থাকেন। রবিবার বিকেলে হাঁসখালির বগুলা বাজারের একটি ওষুধের দোকানের চেম্বার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নিয়ে আসে হাঁসখালি থানার পুলিশ। পরে তদন্তে ‘ভুয়ো ডাক্তার’ বলে প্রমাণিত হওয়ায় রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার রানাঘাট আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে হাঁসখালি আর চাপড়া থেকে দু’জন ভুয়ো ডাক্তারকে ধরা হয়েছিল। তাঁরা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা জেনে নিজেদের ‘এমবিবিএস’ বলে চালাচ্ছিলেন। পুলিশি জেরায় বাপিও কবুল করেছেন, তিনি ‘ব্যাচেলার অব আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল সায়েন্স’। কিন্তু নিজেকে এমবিবিএস পাশ করা চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করতেন। সেই মতো তিনি সাইনবোর্ড এবং প্রেসক্রিপশনে ডিগ্রি লেখা ছিল।
বিষয়টি জানাজানি হয় সম্প্রতি এক রোগী ইন্টারনেটে রেজিস্টার্ড ডাক্তারদের তালিকা খতিয়ে দেখায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগুলা কলেজপাড়ার সত্যরঞ্জন বিশ্বাস গিয়েছিলেন বাপি দাসের কাছে চিকিৎসা করাতে। বেশ কিছু দিন ওষুধ চললেও তেমন কাজ না হওয়ায় তাঁর সন্দেহ হয়। ইন্টারনেটে বাপির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ধরে খোঁজ করতে গিয়ে তিনি দেখেন, ওই নম্বরে অন্য এক চিকিৎসকের নাম রয়েছে। এর পরেই তিনি হাঁসখালি থানার পুলিশকে বিষয়টি জানান।
এক দিন-দু’দিন নয়, গত প্রায় আট বছর ধরে বগুলার ওই চেম্বারে বসছেন বাপি। সপ্তাহে দু’দিন— বুধ ও রবিবার তিনি চেম্বার করতেন। রবিবার বিকেলে সেখান থেকেই পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে আসে। যে দোকানে বসে তিনি রোগী দেখতেন, সেটির বিরুদ্ধে অবশ্য এখনও কোনও ব্যবস্থা
নেওয়া হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy