মদ নিয়ে ঝগড়ার জেরে বন্ধুদের হাতে খুন হয়েছিল কিশোর। নিতান্তই নাবালক অভিযুক্তদের বিচারও শুরু হয়েছিল জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে।
তবে, ছবিটা বদলে গিয়েছিল, শনিবার। ওই মামলার তদন্তকারী অফিসারের আবেদন, দেবাশিস ভৌমিক খুনে অভিযুক্তদের এক জনের বিচার জুভেনাইল বোর্ড থেকে সরিয়ে নেওয়া হোক সাধারন আদালতে। কেন? আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে, দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশের সূত্র ধরেই এই আবেদন।
চার বছর আগে, নির্ভয়া কাণ্ডে মূল অভিযুক্তদের অন্যতম এক কিশোর ছাড় পেয়ে গিয়েছিল নিতান্তই নাবালক হওয়ায়।
দেশ জুড়ে তার পরেই শুরু হয়েছিল হইচই। সুপ্রিম কোর্টেও আলোচনাটা শুরু হয়েছিল তার পরেই। শেষতক শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল— বিরল কোনও অপরাধের সুতোয় জড়িয়ে পড়লে সে ক্ষেত্রে ১৬ বছর বয়স নয় বিচার্য হবে অপরাধের গুরুত্ব। এবং প্রয়োজনে অভিযুক্তের বিচার হবে ভারতীয় দণ্ডবিধি মেনে, সাধারন আদালতে।
দিন কয়েক আগে কৃষ্ণনগরের দেবাশিস ভৌমিক খুনে ওই অভিযুক্তকে সেই বিরল অপরাধী বলেই মনে করছে পুলিশ। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই ঘটনা পরিকল্পনা মাফিক, ঠাণ্ডা মাথায় খুন। আদালতে সে কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তদন্তকারী অফিসারের দাবি, অভিযুক্তের এক জনের বয়স ষোলো পেরিয়ে যাওয়ায় জুভেনাইল বর্ড নয়, তার বিচার হোক ভারতীয় দণ্ডবিধি মেনে সাধারন আদালতে।
জেলার পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “ওই কিশোর খুনের ঘটনাটি একটি বিরল অররাধ বলেই মনে করছি আমরা। তাই এক অভিযুক্তের বিচার যাতে ভারতীয় দন্ডবিধি অনুযায়ী সাধারন আদালতে হয়, তার জন্য আবেদন করা হয়েছে।’’ তবে পুলিশের এই আবেদন গ্রাহ্য হবে কিনা, তা নির্ভর করবে বিচারকের সিদ্ধান্তের উপর। নিয়ম অনুযায়ী, তদন্তকারী আধিকারিকের আবেদন বিবেচনা করে দেখবেন জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সদস্যেরা। তাঁরা আবেদনের ‘সারবত্তা’ খুঁজে পেলে তা পাঠাবেন জেলা জজের কাছে। তারপরেও জেলা জজ চাইলে ওই মামলা জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে ফেরত পাঠনো হতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy