রাজু দাস
রাত দশটা নাগাদ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কুপার্স ক্যাম্পের কাছাকাছি আসতেই ছুটে এসেছিল গুলি। মোটরবাইক থেকে ছিটকে পড়েছিলেন রাজু দাস (৩৮)। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
বুধবার রাতে, রানাঘাটের ওই পরিচিত ব্যবসায়ী খুনের কারণ অবশ্য স্পষ্ট হয়নি। সেই কুয়াশা আরও গভীর হয়েছে, রাজুর পরিবার এবং পুলিশ— খুনের পিছনে দু’ধরনের সন্দেহ পোষণ করায়। তদন্তকারীরা অবশ্য জানাচ্ছেন, সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে, খুনের পিছনে রাজুর ঘনিষ্ট কেউ জড়িত বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে পুলিশ।
রানাঘাট স্টেশনের কাছে রাজু দাসের ব্যাগের দোকান। সম্প্রতি আরও একটি দোকান খুলেন রানাঘাট শহরে। রাজুর এই রমরমার পিছনে, দোকান সংক্রান্ত কোনও গোলমালের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
তনিমার দাবি, তাঁর বাপের বাড়ির সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে রাজুরই এক নিকটাত্মীয়। পুজোর সময়ও সে রাজুকে খুনের চেষ্টা করেছিল। তিনি পুলিশকে জানান, সেই আত্মীয় ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা। পুলিশের তনিমার অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। তবে, শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তির জন্য কেন রাজুকে খুন করা হবে তার ব্যাখ্যা খুঁজে পায়নি। পুলিশের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘সম্পর্কের জটিল সমীকরণও খুনের কারণ হতে পারে।’’ তনিমা জানান, তাঁর শ্বশুরবাড়ি গাংনাপুরের নাসেরকুলিতে। তনিমা এক মাত্র সন্তান। তাই রাজু সস্ত্রীক নাসেরকুলিতে থাকতেন। কয়েক মাস আগে তাঁরা রানাঘাটে ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতেন। তবে, সেখানে অসুবিধা হওয়ায় সপ্তাহখানেক আগে ফের নাসেরকুলিতে ফিরে যান দম্পতি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি দিনের মতো রাত দশটা নাগাদ দোকান বন্ধ করে মোটরবাইকে নাসেরকুলি যাচ্ছিলেন তিনি। কুপার্স ক্যাম্প ছাড়িয়ে রায়নগরে ফাঁকা রাস্তায় পিছন থেকে একটি বাইকে করে দুষ্কৃতীরা তাঁর পিছু নেয়। খানিক দূর গিয়েই পর পর তিনটি গুলি করে। বাইক-সহ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রাজু। তার পরে তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলেও পুলিশ জানিয়েছে। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসার আগেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ অবশ্য জানতে পেরেছে কুপার্সের এক দুষ্কৃতী এই খুনে জড়িত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy