প্রতীকী ছবি।
নিজের বাড়িতে কত দিন তিনি থাকতে পারবেন, তার ব্যবস্থাপত্র করে দিয়েছিল থানার সালিশি সভা। যারা ঘরছাড়া করেছিল, তাদের মদত দেওয়ার অভিযোগ ছিল, চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ জাকির হোসেন মণ্ডলের বিরুদ্ধে। সে খবর প্রকাশ পেতেই তাঁর রোষে পড়তে হল চাঁদুড়িয়ার সাহাবুদ্দিন পেয়াদাকে। মঙ্গলবার সাহাবুদ্দিনের বাড়ি থেকে উৎখাত হওয়ার খবর প্রকাশ হয়। অভিযোগ, এ দিন সকালেই শিমুরালি রেল স্টেশন থেকে তাঁকে কার্যত তুলে নিয়ে যায় জাকিরের লোকেরা। তিনি অভিযোগ করেন, সেখানে তাঁকে তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। তার পরে তাঁকে দিয়ে জোর করে লিখিয়ে নেওয়া হয়, ‘পুরো ঘটনাতে জাকিরের কোনও ভূমিকা ছিল না। তিনি জাকিরের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগও করেননি।’ এই ঘটনার পরে এ দিন সন্ধ্যায় সাহাবুদ্দিন চাকদহ থানা এবং চাকদহের বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে, ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন জাকির। বলেন, ‘‘সাহাবুদ্দিন নিজেই এসেছিল আমার কাছে ওঁকে কেউ তুলে আনেনি।’’
চাঁদুড়িয়ার দুর্গাপুরে আড়াই কাঠা জমি কিনে বাড়ি তৈরি করে গত ১৪ বছর ধরে বাস করছেন সাহাবুদ্দিন। তাঁর প্রতিবেশী হোসেন তরফদার এবং কাসেম তরফদার ওই জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। কোনওভাবে তা না পেরে শেষ পর্যন্ত তাঁর যাতায়াতের রাস্তায় পাঁচিল তুলে দেয় সাহাবুদ্দিনের পরিবারকে বাড়ি ছাড়া করে তারা।
সাহাবুদ্দিনের অভিযোগ, এ দিন সকালেই ফোন করে তাকে ডাকে সাহাবুদ্দিনের লোকেরা। শিমুরালি স্টেশনে নামতেই তাকে জাকিরের কাছে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। সেখানে তাকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আটকে রাখা হয়। বার বার তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেন তিনি জাকিরের নাম বলেছেন। একরকম জোর করে তাঁকে দিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হয় জাকিরের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। এই ঘটনার পর থেকেই চরম আতঙ্কে রয়েছেন সাহাবুদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যেরা। বিকেলে অবশ্য তিনি স্থানীয় বিডিও-র কাছে। অভিযোগ দায়ের করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy