রাজনৈতিক সম্মেলন বলে কথা। ফলে সাতশো কর্মীর খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু, সে খাবার আর পাতে পড়ল কই? তার আগেই ধুন্ধুমার বাঁধল তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সম্মেলনে। সভাপতি নির্বাচন নিয়ে কর্মীদের হাতাহাতিতে ছড়িয়ে পড়ল ভাত-ডাল। রবিবার সালারের মালিহাটি এলাকার ঘটনা।
এ দিন মালিহাটি-কান্দরা উচ্চ বিদ্যালয়ে ওই অঞ্চলের সম্মেলন হচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই সেখআনে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী রয়েছে। অভিযোগ, ভরতপুর-২ ব্লকের সভাপতি আজহারউদ্দিন সিজার ওই অঞ্চলের বর্তমান সভাপতি আবুল হাসানকে আমন্ত্রণই জানাননি। ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সভাপতি খাদেম-এ-দস্তেগিরকেও আমন্ত্রন জানানো হয়নি। সাতশো কর্মীর খাবারের আয়োজন হলেও নেতা-কর্মী মিলিয়ে প্রায় চারশো হাজির ছিলেন সম্মেলনে। সম্মেলন শেষে অঞ্চলের সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি শুরু হয়।
পাঁচ জন অঞ্চলের সভাপতির পদ দাবি করেন। আজাহারুদ্দিন তপন মিঞা নামে এক কর্মীকে ওই সভাপতি ঘোষণা করে দেন। অঞ্চলের অধিকাংশ তৃণমূল কর্মী গোলাম মুর্শিদকে সভাপতি করার দাবি জানান। তা মানা না হলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। তার পরে লাঠিসোঁটা নিয়ে মারপিট। তাতে জনাকয়েক আহতও হন। ক্ষূব্ধ তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, যাকে সভাপতি করা হল, তিনি মাসখানেক আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
আজাহারুদ্দিন বলেন, “যাঁরা গত বিধানসভায় দল বিরোধী কাজ করেছেন, তাঁদের দলে থাকার কোনও প্রশ্নই নেই। সম্মেলনে খাবার নিয়ে সামান্য অশান্তি হয়েছে। সেটা এমন কিছু বিষয় নয়। মারপিটের খবর ঠিক নয়।’’ ওই ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি রেজাউল শেখ বলেন, “ব্লক সভাপতি যাকে খুশি নিজের খেয়াল-খুশী মতো সভাপতি করে দিচ্ছেন।” কান্দি মহকুমা তৃণমূলের সভাপতি গৌতম রায় বলেন, “এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য ওই ব্লকের সভাপতিকে কারণ দর্শাতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy