এ ভাবেই পড়ে থার্মোকলের থালা। — নিজস্ব চিত্র
বছরের প্রথম দিনে ফরাক্কা প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। রবিবার ব্যারেজের মূল ফটকের সামনে এনটিপিসির পদস্থ কর্তারা পিকনিকের গাড়ি দাঁড় করিয়ে রুখে দিয়েছেন প্লাস্টিকের ব্যবহার। তাতে কাজও হয়েছে। কিন্তু মুর্শিদাবাদের বৃহত্তম পর্যটনকেন্দ্র—হাজারদুয়ারিতে রমরমিয়ে চলছে প্লাস্টিক।
প্রতিদিন সেখানে কয়েক হাজার দর্শনার্থী ভি়ড় করেন। তাঁরা দিব্যি প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে ঢুকে পড়েন পর্যটনকেন্দ্রে। ব্যবহৃত ওই প্লাস্টিক ফেলা হয় হাজারদুয়ারি চত্বরে। পিকনিকে আসা লোকজন উচ্ছিষ্টও ফেলেন এ দিক সে দিক। এ সবে লাগাম পরানোর কেউ নেই। বছর শুরুর দিনে প্রায় পঞ্চাশ হাজার পর্যটক এসেছিলেন লালবাগে। তাঁরা দল বেঁধে পিকনিক করেন ভাগীরথী পাড় লাগোয়া হাজারদুয়ারি প্রাসাদ সংলগ্ন খোলা জায়গায়। রান্নাবান্নার পর যাবতীয় নোংরা-আবর্জনা ও প্লাস্টিকের থালা-বাটি-গ্লাস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে রেখে চলে গিয়েছেন তাঁরা। সে সব সাফ করার কোনও উদ্যোগ নেই। এরই মধ্যে আসছে অন্যান্য পর্যটকেরাও। পিকনিক করতে। নজরজারি না থাকায় তাঁরা যথেচ্ছ ভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার করছেন। ফলে হাজারদুয়ারি চত্বরে জমছে প্লাস্টিকের স্তূপ। আর এ সবের দিকে কোনও ভ্রূক্ষেপও নেই পুলিশ-প্রশাসন ও থেকে পুরসভার।
লালবাগ পর্যটন সহায়তা কেন্দ্রের কর্ণধার স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রতি বছরই পর্যটন মরশুমের আগে প্রশাসন বৈঠক করে নানা নীতিমালা তৈরি করে। এ বছর সেই বৈঠকই হয়নি। ফলে আমরা দিশেহারা। প্লাস্টিক রুখতে কিছুই করা যাচ্ছে না।’’
বছর খানেক আগে থেকে মুর্শিদাবাদ পুরসভাকে প্লাস্টিকমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু নজরদারির অভাবে ফের ফিরেছে প্লাস্টিকের ব্যবহার। মুর্শিদাবাদের পুরপ্রধান তৃণমূলের বিপ্লব চক্রবর্তী জানান, তিনি অসুস্থ ছিলেন। ফলে পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে মাথা ঘামাতে পারেননি। প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। মুর্শিদাবাদের আইসি আশিস দেব বলেন, ‘‘কয়েক দিনের মধ্যেই প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।’’ এ সব আশ্বাসের মধ্যেই অবাধে চলছে প্লাস্টিকের ব্যবহার। নষ্ট হচ্ছে প্রাসাদ সংলগ্ন এলাকার পরিবেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy