বেপরোয়া: কান্দিতে। নিজস্ব চিত্র
সার দিয়ে মোটরবাইক মিছিল বেরিয়েছে। ধোরপদুরস্ত পোশাক, বাহারি সাজ, তবে কারও মাথায় হেলমেট নেই।
ছবিটা অচেনা নয়, ইদের সকাল-সন্ধ্যা কান্দির রাস্তায় এটাই দস্তুর। সোমবারও, তার কোনও বদল হয়নি। কান্দি থেকে সালার, খড়গ্রাম থেকে বড়ঞা— একই ছবি।
আর এ সব দেখেও নির্বিকার পুলিশ। অথচ, মোটর বাইকের দাপট রুখতে ট্রাফিক পুলিশের পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ আয়োজনের বিরাম নেই। সেখানে হেলমেট থেকে মোটর বাইকের স্পিড— পুলিশের রাঙা চোখ সারাক্ষণের নজরদারি। হেলমেট না থাকলে তা কিনিয়ে পরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও নতুন নয়। তবে, তারপরেও যে সাড়া তেমন মেলেনি সোমবারের বাইক-দাপট থেকেই তা স্পষ্ট। বাইকের তাণ্ডব দেখে ইদের সাঁঝে রাস্তায় বেরনো মানুষ সিঁটিয়ে দাঁড়িয়ে তাকছেন রাস্তার পাশে। সকাল থেকে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও বিরাম নেই। কান্দি এবার আশপাশের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে বাইক দুর্ঘটনায় আহতদের ভিড়ও বাড়ছে ত্রমশ। তাদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। একই ভাবে সালার থেকে চারটি মোটর বাইক নিয়ে ১২ জন বন্ধু মিলে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় কান্দি-সালার রাজ্য সড়কের উপর ভরতপুর থানার বিনোদিয়া এলাকায় মোটর বাইকটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার মধ্যে আছড়ে পড়ে। তাতেও জখম হয়েছেন দু’জন।
তাদের ভরতপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “যে কোনও উৎসব পার্বণেও মোটর বাইক চালালো হেলমেট ড়তে হবে। এটাই নিয়ম। আমি ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে কথা বলছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy