ছোটার অপেক্ষায়। — নিজস্ব চিত্র
দিন কয়েক আগে বেথুয়াডহরি থেকে লালবাগে ঘুরতে এসেছিলেন নীলাদ্রিশেখর সরকার ও তাঁর স্ত্রী ঝুম্পা। মুর্শিদাবাদ স্টেশনে নেমে এ গাড়ি সে গাড়ি পাল্টে সারা দিন দেখার জায়গাগুলো ঘোরার পরে হাল তাঁদের খারাপ।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে সপরিবার মুর্শিদাবাদে ঘুরতে আসা রানা সিংহ উঠেছিলেন বহরমপুরের একটি হোটেলে। সেখান থেকেই গাড়ি ভাড়া করে মুর্শিদাবাদের নানা দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখেছেন। আনন্দ পেয়েছেন ঠিকই, ঝক্কিও কম পোহাতে হয়নি।
এ রকম অনেক পর্যটকই মনে করছিলেন, জেলা প্রশাসনের তরফে একটা প্যাকেজ ট্যুরের বন্দোবস্ত হলে ভাল হত। অবশেষে তেমনটাই হতে চলেছে। বহরমপুর পুরসভা ঠিক করেছে, ৩০ আসনের একটি বাস প্যাকেজ ট্যুরের কাজে লাগানো হবে। গত ৮ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার দু’টি বাস পুরসভাকে দিয়ে যান পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তার মধ্যে ৫০ আসনের বড় বাসটি নিয়মিত রুটে চলবে। অন্যটি লাগানো হবে পর্যটনের কাজে।
বহরমপুরের পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য জানান, খুব তাড়াতাড়ি প্যাকেজ ট্যুর চালু করা হবে। তবে বেশির ভাগ পর্যটকই যেহেতু মুর্শিদাবাদে ঘুরতে এসে হোটেলে ওঠেন, সে কারণে আপাতত প্যাকেজের মধ্যে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে না। মাথাপিছু কত টাকা নেওয়া হবে, তা-ও এখনও ঠিক হয়নি। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘শীঘ্রই আমরা বোর্ড মিটিং ডেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, বহরমপুরে তাদের ডিপোতেই থাকবে বাস দু’টি। কিন্তু সেগুলি পরিচালনার ভার থাকবে পুরসভার হাতে। তাদের থেকেই সংস্থা লভ্যাংশ পাবে। সংস্থার ডিভিশনাল ম্যানেজার উত্তম গণ জানান, গ্রীষ্মের আগেই বহরমপুর পুরসভাকে একটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাস দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। পুরসভা সূত্রে খবর, সেটিকেও প্যাকেজ ট্যুরে নামানো হবে।
ভাগীরথী ছোঁয়া লালবাগে পর্যটন বাড়াতে জলযাত্রারও ব্যবস্থা করতে চাইছে বহরমপুর পুরসভা। পুরপ্রধান জানান, নবদ্বীপ থেকে মায়াপুর ছুঁয়ে মুর্শিদাবাদ শহরে আসা-যাওয়ার জন্য পরিবহণ ও পুর দফতরের কাছে দু’টি লঞ্চের আবেদন জানানো হয়েছে। সেচ দফতরের হিসেবে প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার লম্বা এই জলপথে যাত্রা যথেষ্ট রোমাঞ্চকর হতে পারে
বলে তাঁদের ধারণা। বৃহস্পতিবার পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ‘‘পর্যটনে মুর্শিদাবাদকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। স্থলপথের পাশে একটি বিকল্প জলপথ খুলতে শীঘ্রই ওদের একটি জলযান দেওয়া হবে।’’
বন্ধ মিড-ডে মিল। চালের অভাবে কয়েকটি স্কুলে মিড ডে বন্ধ হয়ে পড়ল। কান্দি ব্লকের ঘটনা। শিক্ষকদের দাবি, এতে পড়ুয়াদের উপস্থিতি কমছে। কান্দি ব্লকে ৭৪টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। কান্দির শাশপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়-সহ কয়েকটি স্কুলে মিড ডে মিল বন্ধ রয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে শাশপাড়া স্কুলে মিড ডে মিল রান্না হচ্ছে না। বিডিও সুরজিৎ রায় বলেন, “চাল এসেছে। স্কুলগুলিতে দুই-একদিনের মধ্যে রান্না চালু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy