Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ওসির মার, প্রতিবাদে উত্তপ্ত থানারপাড়া

সেই বচসা শুনে দোতলা থেকে নীচে নেমে আসেন ওসি অনিমেষ দে। অভিযোগ, ওসি সাদিফুলকে ওই ভিজে সিমেন্ট নেওয়ার জন্য জোর করেন। কিন্তু সাদিফুল তা নিতে চাননি। তার পরেই প্রকাশ্যে মারধর করে তাঁকে থানায় আটকে রাখা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ লোকজন ওসির আবাসন ঘিরে ফেলে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
করিমপুর শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৭ ১৩:০০
Share: Save:

এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে থানায় আটকে রাখার অভিযোগে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল থানারপাড়া থানা চত্বর। ওসিকে আটকে রেখে তাঁর আবাসন ভাঙচুরের পাশাপাশি পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধেও। মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, ‘‘গণ্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। কেন এমনটা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, থানারপাড়া থানা লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা খেজমত মণ্ডলের বাড়ির দোতলায় ভাড়া থাকেন ওসি অনিমেষ দে। নীচে খেজমতের ভাই সাদিফুলের সিমেন্টের গুদাম রয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় একটি গাড়িতে সিমেন্ট আসে। কিন্তু সেই সিমেন্টের বেশ কিছু বস্তা বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিল বলে তা নিতে চাননি সাদিফুল। তা নিয়ে গাড়ি চালক ও সাদিফুলের মধ্যে বচসা শুরু হয়।

সেই বচসা শুনে দোতলা থেকে নীচে নেমে আসেন ওসি অনিমেষ দে। অভিযোগ, ওসি সাদিফুলকে ওই ভিজে সিমেন্ট নেওয়ার জন্য জোর করেন। কিন্তু সাদিফুল তা নিতে চাননি। তার পরেই প্রকাশ্যে মারধর করে তাঁকে থানায় আটকে রাখা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ লোকজন ওসির আবাসন ঘিরে ফেলে। তাঁর ঘরের জানলা লক্ষ করে ইট-পাথর ছোড়া হয়। জনতার রোষ থেকে বাঁচতে কোনওমতে ঘরেই আটকে ছিলেন অনিমেষবাবু। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। থানারপাড়ার ওসিকে একাধিক বার ফোন করে সাড়া মেলেনি। জবাব মেলেনি এসএমএসেরও। তেহট্টের এসডিপিও কার্তিক মণ্ডলের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE