ফাঁদ থেকে সাবধান!
হাসতে হাসতে এক পুলিশ কর্তা বলছেন, ‘‘জালে জড়াচ্ছে জড়াও। তবে ফাঁদ না চিনতে পারলে সর্বনাশ!’’
এ জাল আসলে অন্তর্জাল। যেখানে দশ থেকে আশি সকলেই বুঁদ। এতটাই, যে মাঝেমধ্যে গোল বাধছে। আর সেই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে সচেতনতার পাঠ দিচ্ছে পুলিশ।
সম্প্রতি কৃষ্ণনগর লেডি কারমাইকেল গার্লস হাইস্কুলে গিয়েছিল পুলিশ। ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে উড়ে এলে একের পর এক প্রশ্ন। ঠান্ডা মাথায় হাসি মুখে একের পর এক সেই প্রশ্নের জবাব দিয়ে গেলেন জেলা পুলিশের কর্তারা।
—‘আচ্ছা স্যার, আমার নামে কেউ যদি ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলে। তাহলে কী করব?’
—‘যে কেউ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালেই অ্যাকসেপ্ট করব?’
—‘ফেসবুকে কেউ বিরক্ত করলেই বা কী করণীয়?’
পুলিশ কর্তারা জানাচ্ছেন, এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ার গুজবের ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। অনেকেই গুরুত্ব না বুঝে এমন সব লেখা, ছবি বা ভিডিও সত্যি বলে পোস্ট করছেন যা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পুলিশ কর্তারা বলছেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ার সব পোস্টই কিন্তু সত্যি বলে ধরে নিও না। কোনও পোস্ট শেয়ার বা লাইক করা আগে ভাল করে দেখে নাও। পরিচিত ছাড়া ফেসবুকে বন্ধুত্ব করবে না। চেষ্টা করো, প্রোফাইলে নিজের ছবি না দিতে।” স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী সান্যাল বলছেন, “পড়ুয়ারাই নয়, আমরাও অনেক কিছু শিখতে পারলাম।
মুর্শিদাবাদে গত মার্চ থেকে মাঠে নেমে পড়েছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার কথা জানিয়ে সচেতন করতে শুরু করেন জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার। বহরমপুরের দু’টি কলেজের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজেও হাজির হন। এক স্কুলেও যান তিনি। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালবাগ) অংশুমান সাহা বলেন, ‘‘ছেলেমেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকলে অভিভাবকদের উচিত নজরদারি চালানো। নিজেরাও মোবাইল নম্বর, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, আধার কার্ডের নম্বর শেয়ার করবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy