চাকদহের তাতলা ২ নম্বর পঞ্চায়েতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের অপসারণ ঘিরে ওই এলাকায় দল ভাঙার মুখে। ওই পঞ্চায়েতের দলীয় প্রতিনিধিরা পদ ছাড়তে চেয়ে ইতিমধ্যেই দলের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাসকে চিঠি দিয়েছেন। এই পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান-সহ দলের ১৩ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি উজ্জ্বলবাবুর সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগের অনুমতি চেয়েছেন।
কেন এমন হল তা জানতে চেয়ে স্থানীয় বিধায়ক রত্না ঘোষের কাছে তা জানতে চেয়েছেন উজ্জ্বল। পঞ্চায়েতের ওই জন প্রতিনিধিদের অভিযোগের আঙুল চাকদহের ব্লক সভাপতি দিলিপ সরকারের বিরুদ্ধে। দিলিপবাবু অবশ্য জানাচ্ছেন, বিশ্বজিৎকে অপসারণের সিদ্ধান্ত তাঁর নয়, বিধায়ক রত্না ঘোষের।
রবিবার ধনিচায় দলীয় সভায় দিলিপবাবু আচমকা বিশ্বজিৎকে সরিয়ে দেন। সেখানে নতুন করে কাউকে সভাপতিও করা হয়নি। স্থানীয় নেতা দলবাহাদুর থাপাকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। চাকদহে রত্না গোষ্ঠী বনাম নীলিমা নাগ গোষ্ঠীর লড়াই নতুন নয়। নীলিমার বাড়ি চাকদহেরই দুবড়া এলাকায়। তিনি হরিণঘাটার বিধায়ক। রত্নার বাড়ি হরিণঘাটা।
তাতলা-২ পঞ্চায়েতের অধিকাংশ প্রতিনিধিই নীলিমা গোষ্ঠীর। ফলে রত্না ঘোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁদের বরাবরই রেষারেষি। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, সেই দ্বন্দ্ব ততই প্রকট হচ্ছে। এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি রত্না, বলেন, ‘‘এটা নিতান্তই দলের আভ্যন্তরীন ব্যাপার।’’
জেলা সভাপতি অবশ্য এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, ‘‘অনিভপ্রেত ঘটনা। এই বিষয়ে দলের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। যাঁরা এমন করেছেন, তাঁদের কাছে জানতে চেয়েছি, কেন এমন করা হল।’’ দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়কের এই একতরফা সিদ্ধান্তে অখুশি দল। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন জেলা সভাপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy