Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

এসপি-র দ্বারস্থ রিজুয়ানুরের পরিবার

নিহত রিজুয়ানুর রহমের পরিবারের লোকজন দেখা করলেন জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকরের সঙ্গে। শনিবার দুপুরে রিজুয়ানুরের বাবা রহমতুল্লা বিশ্বাস- সহ ওই পরিবারের মোট ৪ জনকে নিয়ে যুব তৃণমূলের রাজ্যে সম্পাদক সৌমিক হোসেন পুলিশ সুপারের বাংলোয় গিয়ে দেখা করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৬ ০৫:৪৯
Share: Save:

নিহত রিজুয়ানুর রহমের পরিবারের লোকজন দেখা করলেন জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকরের সঙ্গে। শনিবার দুপুরে রিজুয়ানুরের বাবা রহমতুল্লা বিশ্বাস- সহ ওই পরিবারের মোট ৪ জনকে নিয়ে যুব তৃণমূলের রাজ্যে সম্পাদক সৌমিক হোসেন পুলিশ সুপারের বাংলোয় গিয়ে দেখা করেন। পুলিশ সুপার তাঁদের বলেন, ‘‘রিজুয়ানুর খুনের মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর দিন তিনেকের মধ্যে ওই ঘটনার কিনারা করা হবে।’’

ডোমকলের ছেলে রিজুয়ানুর ছিলেন জিয়াগঞ্জ শ্রীপৎ সিংহ কলেজের মাইক্রো বায়োলজির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁরা কয়েক জন ছাত্র মিলে জিয়াগঞ্জ পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তিলিপাড়ায় একটি মেসবাড়িতে থাকতেন। মেসবাড়ির ছাদ থেকে গত সোমবার রাতে একটি পাথরের টুকরো ফেলাকে কেন্দ্র করে বিবাদ বাধে। ওই বিবাদের জেরে তিলিপাড়ার ২০-২৫ জনের একটি দল মেসবাডির দরজা ভেঙে ছাত্রদের উপর চড়াও হয়।

পরদিন দুপুরে মেসবাড়ি থেকে কয়েকটি বাড়ি দূরে হাত পা ভাঙা অবস্থায় রিজওয়ানুরের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছেলেকে মারধর করে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে এফআইআর করেন রহমতুল্লা বিশ্বাস। মেসবাড়ির মালিক শীতলচন্দ্র রায়ও পুলিশের কাছে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ দিন পুলিশ সুপারকে সৌমিক হোসেন বলেন, ‘‘ওই দিনের ঘটনার পর গ্রামের ছাত্ররা লেখাপড়ার প্রয়োজনে শহরে মেসবাড়ি ভাড়া করে থাকতে ভয় পাচ্ছেন। ওই ভয় কাটাতে পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। রিজুয়ানুরের মৃত্যুর ঘটনার কথা আমি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানাব।’’

ডোমকলের ওই মেধাবী ছাত্রের খুনের প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পথে নেমেছিলেন ছাত্র-ব্যবসায়ী থেকে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

SP Rijwanu
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE