Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বৃষ্টি ভুলে ছাতা মাথায় জমজমাট ইদের হাট

সোমবার সন্ধ্যা থেকেই দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জায়গার মতো বেলডাঙাতেও বৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার সকালেও তা থামেনি। হাটের খুচরো ব্যবসায়ীরা ভেবেছিলেন, এ সপ্তাহে হয়ত তাঁদের কপাল মন্দ যাবে। ইদের আগে শেষ হাটে কেনাবেচা জমবে না। বৃষ্টিতে বাড়িবন্দি থাকবেন লোকজন।

বিকিকিনি: কাপড়ের খোঁজ। বেলডাঙায়। নিজস্ব চিত্র

বিকিকিনি: কাপড়ের খোঁজ। বেলডাঙায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বেলডাঙা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৭ ০১:৩২
Share: Save:

আর দিন ছয়েক পরেই খুশির ইদ। শেষ মুহূর্তে দোকানে কেনাকাটার জন্য লম্বা লাইন। এরই মধ্যে সোমবার থেকে নাগাড়ে ভারি বৃষ্টি। সে বৃষ্টিকে তোয়াক্কা না করেই মঙ্গলবার সকাল থেকেই হাটমুখি হলেন হাজারও লোকজন। হবেন নাই বা কেন, ইদের আগে এটাই যে শেষ হাট। তাই এ দিন হাটজুড়ে ছাতা মাথায় অগুনতি মানুষের ভিড়।

সোমবার সন্ধ্যা থেকেই দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জায়গার মতো বেলডাঙাতেও বৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার সকালেও তা থামেনি। হাটের খুচরো ব্যবসায়ীরা ভেবেছিলেন, এ সপ্তাহে হয়ত তাঁদের কপাল মন্দ যাবে। ইদের আগে শেষ হাটে কেনাবেচা জমবে না। বৃষ্টিতে বাড়িবন্দি থাকবেন লোকজন।

কিন্তু বেলা একটু বাড়তেই সে সব আশঙ্কা দূর হল। বেলডাঙা ও তার সন্নিহিত তল্লাট থেকে লোকজন হাটে হাজির হতে শুরু করে। অস্থায়ী দোকানগুলির সামনে ভিড়ের বহর বাড়তে থাকে। সমস্ত রাস্তা যেন মিলেছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বেলডাঙার বড়ুয়া হাটে। আর এই ক্রেতা সমাগম দেখে হাট মালিকদের সিদ্ধান্ত, ‘‘সামনের শনিবারেও বসবে হাট। অর্থাৎ এ সপ্তাহে দু’দিন হাট বসবে।’’

হাটের এক ব্যবসায়ী বলছেন, ‘‘আমরা ভেবেছিলাম ক্রেতারা সে ভাবে আসবেন না। কিন্তু সকাল হতেই মুর্শিদাবাদ ও তার পড়শি জেলা থেকে হাজার হাজার লোক হাটে আসতে শুরু করে। খুব ভালো কেনাবেচা হয়েছে।’’

এ দিন সকালে হাটে চত্বরে গিয়ে ভিড়টা মালুম হল। হাটের এক নম্বর গেটের দু’দিকে বসেন কাপড়ের ব্যবসায়ীরা। দেখা গেল, হাটে ঢোকার জন্য গেটের সামনে রীতিমতো নাতিদীর্ঘ লাইন পড়ে গিয়েছে। মিনিট পনেরো অপেক্ষার পর মিলছে মূল হাটে ঢোকার সুযোগ। ভাবতা গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী অরুণকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘বৃষ্টিতে ভিজেও লোকজন যে ভাবে কেনাকাটা করেছেন, তা ভাবাই যায় না।’’

বহরমপুরের ভাকুড়ি এ দিন হাটে এসেছিলেন নজরুল শেখ। তিনি বলেন, ‘‘আমি কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করি। গত শনিবার বাড়ি এসেছি। আর তো কয়েকদিন পরেই ইদ। তাই জল-কাদা ঠেলে হাটে এলাম। বাড়ির সকলের জন্যই কেনাকাটা করলাম।’’ একই কথা বলছেন রেজিনগরের মজির্না বিবি। তিনি বলেন, ‘‘বেলডাঙার হাটের লুঙ্গির একটা আলাদা কদর রয়েছে। বাবা বার বার সে কথা বলেন। তাই এ বার ইদে বাবার জন্য লুঙ্গি কিনতে হাটে চলে এলাম। সঙ্গে অন্য কেনাকাটা তো রয়েছেই।’’

বিকিকিনি: কাপড়ের খোঁজ। বেলডাঙায়। নিজস্ব চিত্র

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rain Weather Eid বেলডাঙা
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE