প্রতীকী ছবি।
এক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরের দিন অন্য পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ শ্রীপৎ সিংহ কলেজে। রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন বোর্ড ওই পরীক্ষা দু’টি নেয়। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত এই গোলমালের সুরাহা হয়নি।
গত শনিবার ছিল ‘ইভিইটিএস’ (ইভেটস) পরীক্ষা, যাতে উত্তীর্ণ হলে ‘ব্যাচেলর অফ ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাজব্যান্ড্রি পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়। রবিবার নেওয়া হয় ‘জেইএনপিএইউএইচ’ (জেনপাউ) পরীক্ষা, যাতে পাশ করলে বিএসসি (নার্সিং), ব্যাচেলর অব অডিওলজি অ্যান্ড স্পিচ ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাথলজি বা ব্যাচেলর অব ফিজিওথেরাপি পাঠ্যক্রমে পড়ার সুযোগ মেলে।
মুর্শিদাবাদ ছাড়াও নদিয়া, বীরভূম মালদহের ছেলেমেয়ে মিলিয়ে সাড়ে তিনশো ছেলেমেয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। শনিবার ‘ইভেটস’-এর পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও জীববিদ্যার পরীক্ষা হয়। পরের দিন ‘জেনপাউ’-এও ওই তিন বিষয়ের পরীক্ষা, ভিন্ন হওয়ার কথা প্রশ্নপত্র। কিন্তু শতাধিক পরীক্ষার্থীকে শনিবারের জীববিদ্যার প্রশ্নপত্রই দেওয়া হয়। এই নিয়ে হইচই হলেও পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ কেউই পরীক্ষার্থীদের কথা আমল দিতে চাননি, উল্টে ওই প্রশ্নেরই উত্তর লিখতে বলা হয় বলে অভিযোগ।
পরীক্ষার্থী মেঘমিতা চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘প্রথম অর্ধে ‘জেইএনপিএইউএইচ-২০১৭’ লেখা প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। দ্বিতীয় অর্ধে জীববিদ্যা পরীক্ষায় যে প্রশ্নপত্র পাই তাতে প্রথম পাতার মাথাতেই লেখা ছিল ‘ইভিইটিএস-২০১৭’। তা ঘরে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষককে দেখাই। খানিক পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের লোকজন এসে জানান, যে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে তাতেই পরীক্ষা দিতে হবে।’’পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন: যে প্রশ্নপত্রে আগের দিন পরীক্ষা হয়েছে, একই প্রশ্ন পরের দিন কী ভাবে দেওয়া হল? যাঁরা আগের দিনের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিলেন, তাঁদের উত্তরপত্র আদৌ গ্রহণ করা হবে কি? পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি, তাঁদের সব চেষ্টা কি তা হলে ভেস্তে গেল?
জিয়াগঞ্জ শ্রীপৎ সিংহ কলেজের অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান আহমেদের বক্তব্য, সাড়ে তিনশো পরীক্ষার মধ্যে ‘ইভিইটিএস-২০১৭’ লেখা প্রশ্নপত্র পেয়েছেন ১২১ জন পরীক্ষার্থী। গোটা বিষয়টি তখনই জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডকে জানানো হয়। কিন্তু বোর্ডের তরফে ওই প্রশ্নপত্র মেনেই পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়। ওই ১২১ জনের উত্তরপত্র পৃথক একটি খামে ভরে রাখা হয়েছে। বোর্ডের তরফে জানানো হয়, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট রিপোর্ট এখনও তাদের হাতে আসেনি। তা হাতে এলেই ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy