স্কুলে মোবাইল নিয়ে আসা মানা। তা সত্ত্বেও লুকিয়ে ফোন আনে কিছু ছাত্রী। আর তা খোয়া যাওয়া নিয়ে একে অন্যকে সন্দেহ, প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে মার, তার আত্মহত্যার চেষ্টা, নবম শ্রেণির তিন ছাত্রীর গ্রেফতারের মতো ঘটনা ঘটে গেল কৃষ্ণনগরের একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে।
গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা মেয়েটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি। নবম শ্রেণির যে তিন ছাত্রী গ্রেফতার হয়েছে, সোমবার তাদের পাঁচ দিনের জন্য হোমে পাঠিয়েছে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। দুই অভিযুক্ত ছাত্রীকে পুলিশ এখনও ধরতে পারেনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত শুক্রবার ক্লাসে ব্যাগ রেখে কম্পিউটার ক্লাসে গিয়েছিল নবম শ্রেণির কিছু ছাত্রী। ফিরে তারা দেখে, দু’টি ব্যাগে ফোন নেই। শোনা যায়, নবদ্বীপ মোড়ের লিচুবাগান থেকে আসা দশম শ্রেণির এক প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে ক্লাসে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। ছাত্রীদের দাবি, ছুটির পরে তার ব্যাগে ফোন দু’টি পাওয়া যায়। কিন্তু সেগুলিতে সিম কার্ড ছিল না। শনিবার স্কুলে মেয়েটিকে ধরে সিম কার্ড ফেরত চায় ওই ছাত্রীরা। মেয়েটি দাবি করে, সে ফোন নেয়নি।
ছুটির পরে ছ’জন ছাত্রী মেয়েটির বাড়িতে যায়। তার বাবার অভিযোগ, “ওরা মেয়ের কাছে সিম কার্ড চায়। ও বারবার বলছিল, ওর কাছে নেই। কিন্তু ওরা কোনও কথা না শুনে আমার মেয়েকে মারধর করে।’’
তিনি জানান, মাটিতে পড়ে গিয়ে মেয়েটি আত্মরক্ষার জন্য একটি ইট ছুড়েছিল। সেটা ছাত্রীদের গায়ে না লেগে পড়শি মহিলার মুখে লাগে। গোলমাল বুঝে ওই ছাত্রীরা চলে যায়। এর পরেই ঘরে ঢুকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে ঝুলে পড়ে মেয়েটি। পড়শিরা দরজা ভেঙে তাকে বের করেন। তার বাবার অভিযোগ, “পড়শিদের সামনে চোর বলে মারধর করাতেই ও আত্মহত্যার করার চেষ্টা করেছে।”
অভিযুক্ত ছাত্রীদের বাড়ির লোকের দাবি, ওই মেয়েটিই মোবাইল চুরি করেছে। সিম কার্ড চাইতে গেলে ইট ছুড়েছে। তাঁদের মেয়েদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মহুয়া সরকার বলেন, “ছাত্রীরা যাতে স্কুলে মোবাইল নিয়ে না আসে তার জন্য বারবার নোটিস দিয়েছি। তার পরেও ওরা অত্যন্ত গোপনে মোবাইল নিয়ে এসেছিল। তাই আমরা জানতে পারিনি। এ বার থেকে আরও সতর্ক হতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy