তেতেপুড়ে: চলছে খেলা।
তাঁর জন্য বরাদ্দ হয়েছিল দু’টো হেলিপ্যাড, এটা না হলে ওঠা। তিনি না হয় মুখ্যমন্ত্রী। আর অন্যদের?
নির্বাচনের মুখে ডোমকলের মাঠঘাটগুলো হয়ে উঠেছিল বুঝি তাঁদের উড়ানের প্রশস্থ উঠোন। তাই ডোমকলের সামার-ক্রিকেট শিকেয় তুলে এলাকার ছোট-মেজ সব মাঠই হয়ে উঠেছিল হেলিপ্যাড।
খেলা কার্যত বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। ডোম মিটেছে সদ্য। তাই পের সেই মাঠেই পড়েছে বাইশ গজের উইকেট। চল্লিশ ডিগ্রি দাবদাহে নতুন করে জাঁকিয়ে বসেছে সামার ক্রিকেট।
ডোমকল সেবা সঙ্ঘ পরিচালিত সেই নক-আউট ক্রিকেট ফের শুরু হয়েছে। ৯ মার্চ শুরু হওয়া সেই প্রতিযোগিতার ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল ৯ এপ্রিল। তবে, সে দিন ওই মাঠেই পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাডের চুন, শালবল্লি। ফলে খেলা গিয়েছিল পিছিয়ে। তার পরেই, বেজে উঠেছিল ভোটের ঢাক। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উড়ে এসে নামতে শুরু করেছিলেন কেলার মাঠে। ফলে ক্রমেই দফারফা হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেট মাঠের। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল খেলা।
সেই খেলাই পের হল, বৃহস্পতিবার প্রায় ৪০ ডিগ্রি উত্তাপে। লালবাগ বান্ধব সমিতির সঙ্গে করিমপুর নবারুন সঙ্ঘের সেই টি-টোয়েন্টি ফাইনাল খেলায় জিতল বান্ধব সমিতি।
চাঁদি ফাটা রোদ আর গরম। সকাল ৮ টা নাগাদ মাঠে এসেই দু’টো দল বেছে নিয়েছিল গাছের ছায়া। মাঠে নামার আগে খেলয়াড়দের রোদ নিয়ে সতর্ক করেন প্রধান অতিথি ডোমকল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের রেজিষ্ট্রার বাইজিদ হোসেন, ‘‘দেখো বাবা, সাবধানে খেল!’’
লালবাগের খেলোয়াড় জনি মণ্ডল বলছেন, ‘‘কি আর করব বলুন, ফাইনাল খেলা বলে কথা।’’ একই কথা বিড় বিড় করছেন বক্তব্য, করিমপুরের নূর আলমের। তার কথায়, ‘‘প্রথমে মাঠে এসেই ধক করে উঠেছিল বুক, এই রোধে মাথা ঘুরে যাবে না তো!’’
আয়োজকদের অন্যতম আয়োজক কর্তা রাকেশ সেখ বলছেন ‘‘হেলিপ্যাডের জন্য বড্ড খেসারত দিতে হল দাদা। আমাদের খুব ভয় করছিল জানেন তো। এই গকম তো, মাঠে কোনও অঘটন না হয়ে যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy