প্রতীকী চিত্র।
উন্নয়নে কী কী ঘাটতি রয়েছে তা বুঝতে জেলা জুড়ে সমীক্ষা হচ্ছে নদিয়ায়। প্রায় ১২ লক্ষ ২৩ হাজার পরিবারের সব সদস্যের খুঁটিনাটি সংগ্রহ করা হবে। সেই সব তথ্য একত্রিত করে তৈরি করা হবে ‘ডেটা ব্যাঙ্ক।’ নদিয়া জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে মাসখানেক আগে থেকে শুরু হয়েছে সমীক্ষার প্রস্তুতি। নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুস্থ নদিয়া, সমৃদ্ধ নদিয়া।’ জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, “আমরা বুঝতে চাইছি, কোথায় কোথায় আমাদের ঘাটতি আছে। যাতে পরে সেই মতো কর্মসূচি নিতে পারি।”
মুর্শিদাবাদে অবশ্য এই ধরনের তথ্য সংগ্রহের কোনও চেষ্টা এখনও নেই। চেষ্টা তো পরের কথা, এ ধরনের সমীক্ষার প্রয়োজন আপাতত অনুভব করছে না জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘‘যদি পরে এ ধরনের পরিবার ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ দরকার হয়, তখন খতিয়ে দেখা হবে।’’
নদিয়ায় সমীক্ষার জন্য ৩৬ দফা প্রশ্নের উত্তর নথিবদ্ধ করা হচ্ছে। এমন ভাবে প্রশ্নগুলো তৈরি করা হয়েছে যাতে শিশুমৃত্যু থেকে শুরু করে বাল্যবিবাহ, প্রসূতির সংখ্যা, তাঁরা নিশ্চয়যান পান কি না, প্রসূতি মৃত্যুর সংখ্যা, অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা নিয়মিত শিশুর ওজন মাপেন কি না— সবই জানা যাবে। জানা যাবে, বাড়িতে শৌচাগার আছে কি না বা থাকলেও সকলে তা ব্যবহার করছেন কি না, পানীয় জলের উৎসই বা কী। পরিবারে সকলের আধার কার্ড আছে কি না, বৃদ্ধেরা বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন কি না, শিশুদের টিকাকরণ ঠিকঠাক হচ্ছে কি না, তা-ও নথিবদ্ধ হবে। ঠিক হয়েছে, প্রত্যেক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী তাঁর কেন্দ্রের অধীন পরিবারের সমীক্ষা করবেন। সমীক্ষার কাগজে তাঁর নাম-সই থাকবে, যাতে কোনও গরমিল হলে সমীক্ষককে চিহ্নিত করা যায়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বাণীকুমার রায় বলেন, “প্রশাসনের কর্মী ও আধিকারিকরা হানা দিয়ে নমুনা পরীক্ষা করবেন, যাতে ফাঁকিবাজি করা না হয়। এই সমীক্ষায় ত্রুটি থেকে গেলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাতেও ভুল থেকে যাবে।”
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেই তো আর্থসামাজিক সমীক্ষা করা হয়। তার পরেও কেন এ উদ্যোগ? জেলার কর্তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় সমীক্ষায় মূলত আর্থিক দিকটা তুলে ধরা হয়। সার্বিক ভাবে নিখুঁত সমীক্ষা করতে চাইছে জেলা প্রশাসন। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের নিয়ে কর্মশালারও আয়োজন হয়েছে একাধিক বার। সেখানে ভুল-ত্রুটির সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy