অকেজো: নলকূপ থেকেও মেলে না জল। নিজস্ব চিত্র
নলকূপ বিকল। পানীয় জল মিলছে না। তার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে কান্দি ব্লকের অন্তত দশটি স্কুলের মিড-ডে-মিল।
কান্দি ব্লক ও শহর মিলিয়ে প্রায় দু’শো প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। প্রত্যেক স্কুলে পানীয় জলের জন্য নলকূপও রয়েছে। এর মধ্যে খান কুড়ি স্কুলের নলকূপ বিকল হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে দশটি স্কুল কোনও ভাবে জল জোগাড় করে রান্না চালিয়ে গেলেও বাকিরা তা পারছে না।
কান্দি শহর ঘেঁষা শাসপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় আট মাস ধরে নলকূপ বিকল। প্রথম দিকে স্কুলের পাশে বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করে পড়ুয়াদের জন্য রান্না হত। কিন্তু গরম বাড়তেই তাঁদের বাড়িতে থাকা নলকূপগুলিও বিকল হয়ে গিয়েছে। ফলে সেখান থেকেও জল মিলছে না। মিড-ডে-মিল রান্নাও বন্ধ।
শাসপাড়ার ওই স্কুলে ১৬৭ জন ছাত্রছাত্রী আছে। এর মধ্যে অন্তত ১২০ জন নিয়মিত স্কুলে আসে। তাদের দুপুরের খাবার দেওয়ার জন্য গুদামে যথেষ্ট চাল মজুত আছে। শুধু জলের অভাবে হাঁড়ি চাপছে না। গত জানুয়ারি থেকে টানা সাড়ে তিন মাস রান্না পুরোপুরি বন্ধ। স্থানীয় বাসিন্দা নূরেফা বিবি, হোসেন শেখরা বলেন, “জলের অভাবে পড়ুয়াদের রান্না তিন মাস ধরে বন্ধ আছে। অথচ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বেশির ভাগ দিন আমাদেরই স্কুলে পানীয় জলের জোগান দিতে হয়।”
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আফাজুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, “নলকূপটি মেরামত করার জন্য প্রতি মাসেই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ও ব্লক প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি। কিন্তু এখনও সেটি সারাই না হওয়ায় পড়ুয়াদের খাবার দেওয়া বন্ধ আছে।”
কান্দি পুর এলাকার জেমো দীনেন্দ্র নারায়ণ পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থাও একই। তবে সেখানে এখনও রান্না বন্ধ হয়নি। গত বছর জুন থেকে স্কুলের একমাত্র নলকূপ বিকল হয়ে পড়ে আছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে জল চেয়েচিন্তে এনে মিড-ডে-মিল রান্না করা হচ্ছে।
গোকর্ণ, মহালন্দি এলাকাতেও বেশ কয়েকটি স্কুলে একই দুরবস্থা চলছে। কান্দি পূর্ব চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক উত্তম পাল বলেন, “মোট ২২টি নলকূপ বিকল হয়েছিল। কয়েকটি মেরামতও করা হয়েছে। বাকিগুলোর জন্যও টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু জলের অভাবে কয়েকটি স্কুলে পড়ুয়াদের মিড-ডে-মিলের রান্না করতে সমস্যা হচ্ছে।”
কান্দির বিডিও সুরজিৎ রায় বলেন, “মাটির নীচে জলের স্তর নেমে যাওয়ার কারণেই কিছু স্কুলের নলকূপে জল উঠছে না। কুড়িটি স্কুলে সমস্যা হয়েছিল। সাতটির নলকূপ মেরামতি অরা হয়েছে। বাকীগুলিতে সারাইয়ের কাজ চলছে। পড়ুয়াদের খাবার যাতে বন্ধ না হয়ে যায়, সেই চেষ্টাই জারি আছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy