Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

জঙ্গিপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল

অনার্সে আসন বাড়ানোর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার জঙ্গিপুর কলেজের সামগ্রিক অবস্থা ঘুরে দেখলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যার অধ্যাপিকা সুজাতা চৌধুরী ও ইংরেজির অধ্যাপিকা সর্বাণী চৌধুরী। সম্প্রতি ওই কলেজে অনার্সের আসন বৃদ্ধির দাবিতে দফায় দফায় ঘেরাও ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

কলেজ ঘুরে দেখছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।

কলেজ ঘুরে দেখছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৪ ০১:৪০
Share: Save:

অনার্সে আসন বাড়ানোর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার জঙ্গিপুর কলেজের সামগ্রিক অবস্থা ঘুরে দেখলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যার অধ্যাপিকা সুজাতা চৌধুরী ও ইংরেজির অধ্যাপিকা সর্বাণী চৌধুরী। সম্প্রতি ওই কলেজে অনার্সের আসন বৃদ্ধির দাবিতে দফায় দফায় ঘেরাও ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তার প্রেক্ষিতে কলেজের অধ্যক্ষের নেতৃত্বে একদল প্রতিনিধি গিয়েছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেন কলেজের পরিস্থিতি সরজমিনে দেখতে প্রতিনিধি পাঠানোর। সেই মতোই এদিন কলেজে এসেই দুই অধ্যাপিকা প্রথমে একাধিক ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন। ছাত্র পরিষদ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও এসএফআই তিনটি সংগঠনের পক্ষ থেকেই কলেজে অনার্সে আসন বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। ছাত্র সংগঠনগুলোর অভিযোগ, গত কয়েক বছরে কলেজে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্সের ৬৫০টি আসন থাকলেও ভর্তি করা হয়েছে এর তিন থেকে চার গুণ বেশি ছাত্র। তাঁদের দাবি, এবারেও সেই হারেই ছাত্র ভর্তি করতে হবে। অনলাইনে মেধার ভিত্তিতে ছাত্র ভর্তি করায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়েও স্থানীয় ছেলে মেয়েরা ভর্তির সুযোগ পায়নি জঙ্গিপুর কলেজে।

৩০ জুন ভর্তি নিয়ে কাউন্সেলিংয়ের দিন ছাত্র পরিষদ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও এসএফআই সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। সেই থেকেই কলেজে বসানো রয়েছে পুলিশের ক্যাম্প। ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠক সেরে দুই অধ্যাপিকা বৈঠক করেন কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে। পরে তাঁরা ঘুরে দেখেন গোটা কলেজ চত্বর। কলেজের ল্যাবরেটরি, গ্রন্থাগার, শ্রেণিকক্ষগুলিও তাঁরা ঘুরে দেখেন। কলেজের পরিকাঠামো দেখে তাঁরা কার্যত হতাশ। বার বার কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা জানতে চান, এত ছাত্র ভর্তি করে তাঁদের ক্লাস করানো হয়েছে কী ভাবে? ছাত্রছাত্রীরা বসতেন কোথায়? কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন সব ছাত্রছাত্রী নিয়মিত কলেজে আসেন না। তাই এ নিয়ে বিশেষ অসুবিধা হয়নি। তখন দুই অধ্যাপিকা জানতে চান ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি ছাড়া তা হলে তাঁরা পরীক্ষায় বসলেন কী ভাবে? কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অসীম মণ্ডল বলেন, “কলেজের পক্ষ থেকে গত তিন বছরের ছাত্র ভর্তির হিসেব-সহ তাঁদের হাতে সব তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে। ছাত্র সংগঠনগুলির তরফ থেকেও দেওয়া হয়েছে ভর্তির আসন বাড়ানোর দাবিপত্র। তাঁরা জানিয়েছেন, কল্যাণী ফিরে গিয়ে তাঁরা উপাচার্যকে সমস্ত তথ্য সহ রিপোর্ট দেবেন। তারপর উপাচার্যই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে কলেজকে জানিয়ে দেবেন।” অসীমবাবু বলেন, “আমি আশাবাদী অনার্সে কিছু আসন হয়তো বাড়ানোর অনুমতি মিলতে পারে। সেক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকেই মেধার ভিত্তিতে ভর্তিনেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

jangipur kalyani university delegates
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE