প্রয়াত জয়নাল আবেদিন—নিজস্ব চিত্র।
প্রয়াত হলেন জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের চার বারের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ জয়নাল আবেদিন (৭৬)। বেশ কয়েক বছর ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। বহরমপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে রবিবার সকাল ৫টা ৩৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। গত বছরই সেপ্টেম্বর মাসে মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রী রুবেদা বেগমের।
১৯৮০ সাল থেকে জঙ্গিপুরে টানা চার বার সিপিএমের প্রার্থী হিসেবে জয়ী সাংসদ জয়নাল আবেদিন ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের ইদ্রিশ আলির কাছে পরাজিত হন। এরপর দল তাঁকে আর মনোনয়ন দেয়নি। সাগরদিঘির কাবিলপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি হলেও লালগোলার মানিকচক হাই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করার সুবাদে তাঁর রাজনৈতিক কার্যকলাপ ছিল লালগোলাতেই। দলের জোনাল সম্পাদক, জেলা কমিটির সদস্য ছাড়াও একাধিক গণ-সংগঠনের সঙ্গে একসময় যুক্ত ছিলেন তিনি। জেলা পরিষদে শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষও ছিলেন এক সময়।
২০০৭ সালে লালগোলার কয়েকজন দলীয় নেতার দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে সরব হলে দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়। বছর তিনেক আগে দলের সদস্য পদ নবীকরণ না করে সরে দাঁড়ান জয়নাল। তবে শেষ দিন পর্যন্ত দলের সমর্থক হিসেবেই কাজ করে গিয়েছেন।
সাংসদ হিসেবে ১৯৮৬ সালে চিন যাত্রার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বই রয়েছে জয়নাল আবেদিনের। নিজের লেখা ৫টি প্রবন্ধ সঙ্কলনও রয়েছে। শেষ জীবনে লিখে গিয়েছেন তাঁর একটি আত্মজীবনীও। বাবার লেখা সেই আত্মজীবনী শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ছেলেরা।
এ দিন তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বহরমপুরে সিপিএমের জেলা দফতরে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানান দলের নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy