Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বেহাল রাস্তায় ভোগান্তি

বছর বারো আগে সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের সাংসদ কোটায় প্রায় দু’কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের লেবুতলা সড়কে পিচ পড়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে দেবগ্রামের গরুর হাট থেকে পাওয়ার হাউস পর্যন্ত বিস্তীর্ণ ওই রাস্তার কোনও সংস্কার হয়নি। আর তার ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। রাস্তার সিংহভাগ অংশেই পিচের কোনও অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। খানাখন্দে ভরা ওই রাস্তা লোকজন ও যানবাহনের চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গরুর হাটের দিকে রাস্তার শুরুতেই অন্তত ফুট দু’য়েকের গভীর গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতেই জলে ভরে যায় সেই গর্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দেবগ্রাম শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৪ ০০:০৫
Share: Save:

বছর বারো আগে সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের সাংসদ কোটায় প্রায় দু’কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের লেবুতলা সড়কে পিচ পড়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে দেবগ্রামের গরুর হাট থেকে পাওয়ার হাউস পর্যন্ত বিস্তীর্ণ ওই রাস্তার কোনও সংস্কার হয়নি। আর তার ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। রাস্তার সিংহভাগ অংশেই পিচের কোনও অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। খানাখন্দে ভরা ওই রাস্তা লোকজন ও যানবাহনের চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গরুর হাটের দিকে রাস্তার শুরুতেই অন্তত ফুট দু’য়েকের গভীর গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতেই জলে ভরে যায় সেই গর্ত।

স্থানীয় এক দোকানদার বললেন, “রাস্তা তৈরি হয়েছে সেই কবে। তারপর থেকে আর কোনও সংস্কার হয়নি। দোকানের সামনে এত বড় গর্তের জল মাড়িয়ে অনেক সময় ক্রেতারা আসেন না।” ওই গর্ত পেরিয়েই মিটার দশেক দূরে রাস্তা একেবারে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। এখানে রাস্তার প্রস্থ মেরেকেটে ফুট পাঁচেক। কারণ, রাস্তার ধারেই বেশ কয়েক বছর আগে একটি পুকুর কাটা হয়। সেই পুকুরের মাটি ট্রাক্টর ভর্তি করে একটি ভাটায় নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার ওই অংশটা একেবারে ভেঙে গিয়েছে। সংকীর্ণ ওই অংশ থেকে পাওয়ার হাউসের দিকে যাওয়ার পথে একাধিক জায়গায় রয়েছে খানাখন্দ। রাস্তার মাঝপথে রয়েছে দেবগ্রাম ডিকে গার্লস হাই স্কুল। স্কুলের সামনেও রাস্তায় পিচের আস্তরণ সম্পূর্ণ উঠে গিয়েছে। সেখানেও বৃষ্টিতে জল জমে। রাস্তার দু’পাশে ঘন জনবসতি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বাজার-হাট, অফিস-আদালতে যাওয়ার জন্য কষ্ট করে এই অগম্য রাস্তা পার হয়েই যেতে হয় দেবগ্রাম মোড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা দীপালি বিশ্বাসের ক্ষোভ, ‘‘প্রতি বছরই ভোটের সময় বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীরা রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ভোট মিটলেই সকলেই আমাদের কথা ভুলে যান। বর্ষাতে জল-কাদা ভরা এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করাই কঠিন হয়ে পড়ে। ছেলে-মেয়েদের কাদা রাস্তা পেরিয়ে স্কুলে যেতেও সমস্যা হয়।”

গরুর হাট থেকে কাটোয়া বা বল্লভপাড়া ঘাট যেতে হলে এই লেবুতলা রোড ধরলে দুই কিলোমিটার পরেই পাওয়ার হাউসে যাওয়া যায়। পাওয়ার হাউস দেবগ্রাম ও কটোয়া ঘাটের মাঝে পড়ে। কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার কারণে লোকজন দেবগ্রাম চৌরাস্তার মোড় হয়ে ঘুরপথে কাটোয়া ঘাটে যান। ফলে গরুর হাট থেকে পাওয়ার হাউসে যেতে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ পেরোতে হয়। অর্থাৎ তিন কিলোমিটার বাড়তি পথ ঘুরতে হয়। স্থানীয় মানুষের যাতায়াতের এই সমস্যা নিয়ে অবশ্য বিশেষ কোনও হেলদোল নেই স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির। সিপিএম পরিচালিত কালীগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লাভলি ইয়াসমিনের দায়সারা বক্তব্য, “বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। স্থায়ী সমিতির মিটিংয়ে এই সমস্যার কথা তুলতে হবে।” রাস্তা নিয়ে এখনও আলোচনাই যদি শেষ না হয় তবে কাজ হবে কবে? প্রশ্ন লেবুতলা রোডের বাসিন্দাদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

badroadcondition debragram
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE