Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মাটি স্বাস্থ্য কার্ডে দেড় লক্ষ চাষি

আরও দেড় লক্ষ কৃষককে ‘মাটি স্বাস্থ্য কার্ডের’ আওতায় আনতে উদ্যোগী হয়েছে কোচবিহারের কৃষি দফতর। তাদের আবাদী জমির নমুনা পরীক্ষা করে চলতি আর্থিক বছরেই এই কাজ করা হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৭ ০২:৪৬
Share: Save:

আরও দেড় লক্ষ কৃষককে ‘মাটি স্বাস্থ্য কার্ডের’ আওতায় আনতে উদ্যোগী হয়েছে কোচবিহারের কৃষি দফতর। তাদের আবাদী জমির নমুনা পরীক্ষা করে চলতি আর্থিক বছরেই এই কাজ করা হবে।

ওই ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে ইতিমধ্যে প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে। ১৫মে পর্যন্ত অভিযান চলবে। ১৭-১৮ মে কোচবিহারে মাটির নমুনা সংগ্রহের ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রথম দফার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সহকারী কৃষি আধিকারিক (তথ্য) গোপালচন্দ্র সাহা বলেন, “মাটি স্বাস্থ্য কার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষক আবাদী জমির নানা তথ্য জানতে পারবেন। তাতে চাষের কাজে ওই জমিতে কোন সার কী পরিমাণ ব্যবহার করা দরকার, তা নিয়ে ধারণাও মিলবে।”

কৃষি দফতর সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট এলাকায় প্রতি আড়াই হেক্টর জমির জন্য একটি করে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এ জন্য ৩২ হাজার নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক ছাড়াও দফতরের কর্মী, এলাকার ফার্মার্স ক্লাব ও বাছাই করা চাষিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে মাটির নমুনা সংগ্রহের কাজে লাগানো হবে।

সংগ্রহ করা মাটি কোচবিহারের একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকেই গুণগতমান পরীক্ষার পর কার্ড তৈরি করা হবে। যাতে মাটির প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য, অম্লত্ব, দস্তা, লোহা প্রভৃতির পরিমাণ উল্লেখ থাকবে। এমনকী, এ বার থেকে কার্ডে জমির মালিকের আধার কার্ডের নম্বর কার্ডে যুক্ত করা হবে। জেলার সহকারী কৃষি আধিকারিক (শস্য সুরক্ষা) রঞ্জিৎ দাস জানান, জুনের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে যতটা সম্ভব বেশি আবাদী জমি এলাকার মাটির নমুনা সংগ্রহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত দুই বছরে কোচবিহারে ৫৬ হাজারের বেশি জমির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তারমধ্যে ৪৪,১৬০টি মাটির নমুনা ইতিমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে। যার নিরিখে ১,১৭,২৮৫ জন মাটি স্বাস্থ্যকার্ডের আওতায় এসেছেন। ইতিমধ্যে প্রায় এক লক্ষ কার্ড বিলি হয়েছে। বাকি নমুনাগুলি পরীক্ষাকেন্দ্রে রয়েছে।

দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এ বার জুলাইয়ের মধ্যে ওই দুই বছরের সমস্ত কার্ড বিলি করা হবে। ২০১৯ সালের মধ্যে জেলায় ৫ লক্ষ কার্ড বিলির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে ভর্তুকিতে সার কেনার কাজে কার্ডটি সহায়ক হতে পারে।’’ সিপিএমের প্রাদেশিক কৃষক সভার কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় অবশ্য বলেন, “কার্ড দিলে কৃষকের সব সমস্যা মিটবেনা। ফসলের দাম পাওয়া নিশ্চিত করা দরকার।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Soil Health Card farmers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE