ভেঙেচুরে গিয়েছে স্কুলবাস। নিজস্ব চিত্র
পিকনিকে যাওয়ার পথে ট্রাকের সঙ্গে স্কুল বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হলেন তিন পড়ুয়া। তাদের মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর। বাসে থাকা রান্নার ঠাকুর ও ট্রাকটির চালকও জখম হয়েছেন। শনিবার বেলা সাড়ে ৯টা নাগাদ মাটিগাড়া থেকে খাপরাইল যাওয়ার রাস্তায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। রানিডাঙার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের কচিকাঁচাদের নিয়ে বাসটি দুধিয়ায় যাচ্ছিল।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৫ জন পড়ুয়া ছিল বাসটিতে। রাস্তায় উল্টো দিক থেকে আসা একটি পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাসটির। তিনজন ছাত্রছাত্রী ও রান্নার ঠাকুর জখম হয়েছেন। আহত হয়েছেন বাস চালকও। তাদের প্রথমে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে জখম ছাত্র প্রিয়েশ বিনায়ককে খালপাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর মাথায় এবং পায়ে চোট রয়েছে। রান্নার ঠাকুর শঙ্কর গুরুঙ্গ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি। ঘটনার পর ট্রাক চালক এবং খালাসি পালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গতিতে আসার সময় ট্রাকটি আচমকা ডানদিকে ঘুরতে গেলে স্কুল বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। কচিকাঁচারা ভয় পেয়ে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করেন। জখম ছাত্রদের কয়েক জনের বাড়ি শিলিগুড়ির বাইরে। তাঁরা হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। এলাকার বাসিন্দারাই বাস থেকে বার করে জখমদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
বাসটির চালক রতন ছেত্রী বলেন, ‘‘বাস সোজাই যাচ্ছিল। উল্টোদিক থেকে আসা ট্রাকটি ইন্ডিকেটর না জ্বালিয়েই আচমকা ডান দিকে ঘোরে। সেই সময়ে ব্রেক কষেও বাসটি পুরোপুরি থামানো যায়নি।’’ তাঁর বুকে চোট লেগেছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাঁকেও খালপাড়ার নার্সিংহোমেও চিকিৎসার জন্য আনা হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে যা জানা গিয়েছে তাতে ট্রাক চালকের দোষ ছিল বলেই মনে হচ্ছে। তার বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে।’’
স্কুলের সহকারি প্রশাসক মিংমায়া জিমিক বলেন, ‘‘খবর পেয়েই আমি ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয় বাসিন্দারা ততক্ষণে বাচ্চাদের উদ্ধার করেছে। স্কুলের বাসটির চালক অভিজ্ঞ। তিনি ব্রেক কষায় দুর্ঘটনা ঘটেনি। না হলে আরও ভয়াবহ কিছু হতে পারত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy