কোচবিহার-দিনহাটা রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য শর্তসাপেক্ষে গাছ কাটার অনুমতি দিল বন দফতর। সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে যে প্রজাতির যত সংখ্যক গাছ কাটা পড়বে তার পাঁচ গুণ চারা লাগাতে হবে বলে শর্ত দিয়েছে বন দফতর। এ জন্য প্রায় তিন হাজার গাছ কাটার অনুমতি চেয়েছিল পূর্ত দফতর।
রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “নিয়মানুযায়ী কোনও কারণে গাছ কাটতে হলে কয়েক গুণ বেশি চারা লাগাতে হয়। সম্প্রসারিত রাস্তার পাশে এর জন্য জায়গা রাখতে হবে। তা মেনেই ওই রাস্তায় কাজ হবে।” জেলাশাসক কৌশিক সাহা জানান, বিকল্প চারাগাছ লাগানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, পূর্ত দফতরের আওতাধীন কোচবিহার-দিনহাটা রাস্তাটি সম্প্রসারণের জন্য নানা মহল থেকে দাবি উঠছিল। যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় যাতায়াতে নিত্য সমস্যা ছিলই। তার ওপর অপরিসর রাস্তায় আচমকা কখনও কোনও বাস, ট্রাক বিকল হলে ভোগান্তি বাড়তো আরও। তাই ক্ষোভ বাড়ছিল। সব মিলিয়েই কোচবিহারের বাবুরহাট থেকে দিনহাটার গীতালদহ পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিমি রাস্তা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ওই কাজে একশো কোটির বেশি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য জবরদখল সরানো, গাছ কাটা, গার্ড ওয়াল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
বন দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, জনস্বার্থে উন্নয়নের জন্য গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল পূর্ত দফতর। সব কিছু খতিয়ে দেখে গাছের তালিকা করা হয়েছে।
নিয়ম মেনে কেটে ফেলা গাছের পরিবর্তে পাঁচ গুণ বেশি চারা লাগানোর লিখিত প্রতিশ্রুতি নেওয়া হয়। পূর্ত দফতরের কোচবিহারের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র নিমাই পাল বলেন, “নিয়ম মেনেই কাজ হবে।”
পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ন্যাসগ্রুপের সম্পাদক অরূপ গুহ বলেন, “উন্নয়ন দরকার। তবে নিয়ম মেনে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার পর পরিপূরক বৃক্ষরোপণই শুধু নয়, তার ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণ যাতে হয় সেটাও মাথায় রাখতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy