Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বেশি বরাদ্দ আলিপুরদুয়ারে

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম থেকে কালচিনি সহ পাঁচটি চা বাগানে পানীয় জলের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া, শামুকতলা, দমনপুর, হ্যামিল্টনগঞ্জ সহ বিভিন্ন হাটে শেড তৈরি হবে। বেশ কিছু হাটে ব্যবসায়ীদের জিনিসপত্র রাখারও জায়গা করা হবে।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৭ ০২:২৯
Share: Save:

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে সব থেকে বেশি বরাদ্দ পেল আলিপুরদুয়ার। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে জেলাশাসকের দফতরে আলিপুরদুয়ারের বরাদ্দ নিয়েই পর্যালোচনা বৈঠক হয়। তারপরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, অন্য সব জেলা যেখানে ৫০ বা ৬০ কোটি টাকা বার্ষিক আর্থিক বরাদ্দ পেয়েছে, সেখানে আলিপুরদুয়ার পেয়েছে প্রায় ১১০ কোটি। তিনি জানান, প্রয়োজনে বরাদ্দ বাড়ানোও হবে।

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম থেকে কালচিনি সহ পাঁচটি চা বাগানে পানীয় জলের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া, শামুকতলা, দমনপুর, হ্যামিল্টনগঞ্জ সহ বিভিন্ন হাটে শেড তৈরি হবে। বেশ কিছু হাটে ব্যবসায়ীদের জিনিসপত্র রাখারও জায়গা করা হবে। রবীন্দ্রনাথবাবু জানান, রাস্তাঘাট, পানীয় জল, হাট সহ বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা দেওয়া হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথবাবু জানান, বন উন্নয়ন নিগমকে গত বছর চার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। পর্যটন আবাস সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য। তবে এক বছর হয়ে গেলেও তার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট পাওয়া যায়নি। ফলে পরবর্তী বরাদ্দ করা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে লাটাগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর বন উন্নয়ন নিগমের জায়গায় নিজেরাই রির্সট তৈরির কাজ করছে। পরে তা ওই দফতরকে দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে ফোনে বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান উদয়ন গুহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “কাজ চলছে। ঠিকাদারদের টাকা মিটিয়ে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে।”

এ দিন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী মন্ত্রীর কাছে একাধিক প্রকল্পের প্রস্তাব দেন। আলিপুরদুয়ার জেলায় পর্যটনের বিকাশের জন্য পৃথক ভাবে জেলাপরিষদে বৈঠক করেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। সৌরভ জানান, আলিপুরদুয়ারে আউটডোর স্টেডিয়াম, প্যারেড গ্রাউন্ডের সৌর্ন্দযায়ন সহ বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবে স্টেডিয়ামের জমির সমস্যা রয়েছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

মন্ত্রী গৌতমবাবু জানান, একটি অর্কিড সেন্টারের পরিকল্পনা হচ্ছে। প্রায় দশ একর জায়গা চাই। হোমস্টে গুলিতে কিচেন গার্ডেন তৈরি করা যেতে পারে। বক্সা পাহাড়ে পর্যটক আবাসগুলি সংস্কার ও ক্যান্টিনের পরিকল্পনা রয়েছে। জয়ন্তী, চিলাপাতা মেন্দাবাড়ি এলাকায় একাধিক প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। বক্সা পাহাড়ে রোপওয়ের জন্য মাটি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE