Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সরু রাস্তায় জট জমছে শহরে

শেষে মিনিট পনেরোর চেষ্টায় সেই জট কাটলেও, খানিকক্ষণ পরই আবার সেই একই চিত্র৷

যানজট: রাস্তা আটকে নানা গাড়িতে। নিজস্ব চিত্র

যানজট: রাস্তা আটকে নানা গাড়িতে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৪৮
Share: Save:

ঘড়িতে সময় বেলা সাড়ে দশটার কাছাকাছি৷ শহর জুড়ে ব্যস্ততা৷ একে অপরকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে চলছে মোটর সাইকেল, টোটো, রিকশা৷ রয়েছে কিছু চার চাকার গাড়িও৷ শান্তিপাড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে কদমতলার দিকে ছুটে আসছে শিলিগুড়ির একটি সরকারি বাস৷ উল্টো দিকে শান্তিপাড়ার দিকে যাচ্ছিল ডুয়ার্স ফেরত একটি বেসরকারি বাস৷ উকিল পাড়া মোড়ের কাছে দু’টি বাস মুখোমুখি আসতেই বিপত্তি৷

দু’টি যাত্রীবাহী বাসের কোনওটিই আর এগোতে পারছে না৷ ততক্ষণে দুই বাসের পেছনে এলোমেলো ভাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছে অনেক বাইক, টোটো ও গাড়ি৷ কিছু মোটর সাইকেল আবার দু’টি বাসের মাঝখান বা পাশ দিয়ে কোনও ভাবে কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু আটকে যাচ্ছে৷ আশপাশ থেকে ট্রাফিক পুলিশ ছুটে গিয়েও জট ছাড়াতে হিমসিম খাচ্ছে৷ শেষে মিনিট পনেরোর চেষ্টায় সেই জট কাটলেও, খানিকক্ষণ পরই আবার সেই একই চিত্র৷

যানজট নিয়ন্ত্রণে গত কয়েক মাসে একাধিকবার জলপাইগুড়ি শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়েছে৷ উৎসবের মরসুম শেষ হলেও এ বার আর পুজোর সময় শুরু হওয়া কড়া ট্রাফিক ব্যবস্থায় এতটুকু ছাড় দেয়নি পুলিশ-প্রশাসন৷ কিন্তু তারপরও যান-জট সমস্যা মিটছে না জলপাইগুড়ি শহরের৷ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তারই প্রতিদিন সেই এক চিত্র৷ যার জেরে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে৷

এই অবস্থায় ফের একবার জলপাইগুড়ি শহরের রাস্তা চওড়া করার দাবি উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল থেকে৷ তাঁদের দাবি, শহরের রাস্তা চওড়া না হলে কোনও দিনই জলপাইগুড়ির যান-জট নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না৷ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ থেকে প্রায় ১৬-১৭ বছর আগে জলপাইগুড়ি শহরের রাস্তা চওড়া করার ব্যাপারে একটি উদ্যোগ হয়েছিল৷ কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে এর মূল উদ্যোক্তা প্রশাসনের এক কর্তাকে সেই সময় বদলি হয়ে যেতে হয়৷ তারপরই বন্ধ হয়ে যায় গোটা প্রক্রিয়া৷

জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তথা বর্তমান কংগ্রেস কাউন্সিলার পিনাকী সেনগুপ্ত জানান, জলপাইগুড়ি শহর অনেক পুরনো৷ এক সময় মার্চেন্ট রোড কিংবা ডিবিসি রোডের মতো রাস্তাগুলি প্রয়োজনের তাগিদে নিজে থেকেই গড়ে উঠেছিল৷ কিন্তু পরে প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলি আর চওড়া হয়নি৷ একই অবস্থা কদমতলা থেকে শান্তিপাড়া পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাটিরও৷ শান্তিপাড়া থেকে দিশারী ক্লাব পর্যন্ত রাস্তা মোটের উপরে খানিকটা চওড়া থাকলেও, তারপর থেকে কদমতলা কিংবা তিন নম্বর ঘুমটি পর্যন্ত রাস্তাটি অনেকটাই চাপা৷ ফলে যানজট হওয়াটাই স্বাভাবিক৷ পিনাকীবাবুর মতে, ফলে শুধু টোটো বা যান নিয়ন্ত্রণ করলেই এই সমস্যার সমাধান হবে না৷ সমস্যা মেটাতে হলে রাস্তা চওড়া করার ব্যাপারে পুরসভাকে উদ্যোগী হতে হবে৷ যদিও বিজেপি নেতা শ্যাম প্রসাদ আবার বলছেন, শহরের মাঝখান দিয়ে যাত্রীবাহী বাসের চলাচল বন্ধ না করা পর্যন্ত কখনই সমস্যা সমাধান সম্ভব না৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Road রাস্তা
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE