চালক: খেতে ট্রাক্টক চালাচ্ছেন এক প্রতিনিধি। নিজস্ব চিত্র
উন্নত পদ্ধতিতে চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে ট্রাক্টর চালালেন অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার হরিন্দর সিধু। শুক্রবার কোচবিহারের সাতমাইলে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানে একটি ফার্মার্স ক্লাব দীর্ঘ দিন ধরেই কৃষকদের উন্নত পদ্ধতিতে চাষে কাজ করে যাচ্ছে। তারাই সেখানে ট্রাক্টর, রোয়া রোপণের যন্ত্র সহ নানা জিনিসপত্র রাখেন। যা দেখে আপ্লুত হয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার। তিনি ট্রাক্টরে বসে তা একটু চালিয়েও নেন। সেই সঙ্গে বলেন, “অস্ট্রেলিয়া কৃষি প্রধান দেশ। আমরা সবসময়ই চাষে নতুন নতুন পদ্ধতি নিয়ে আসি। সেই সঙ্গে চাই অন্য সমস্ত দেশের কৃষকরাও একই পদ্ধতিতে চাষ করুন। আমি নিশ্চিত কোচবিহারের চাষিরা সফল হবে।”
কৃষি ক্ষেত্রে যন্ত্রের ব্যবহার বেশ কয়েক বছর আগেই এসেছে কোচবিহারে। দিনের সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যবহার বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে জমি তৈরি থেকে ফসল রোপণ, তা গড়ে তোলা এমনকী সেচ ব্যবস্থাতেও যন্ত্রের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে। এক সময় জমির সব কাজই কৃষকদের নিজেদের করতে হত সেই সঙ্গে শ্রমিক ব্যবহার করার জন্য অনেক খরচ পড়ে যেত। সাতমাইল ফার্মার্স ক্লাবের সম্পাদক অমল রায় জানান, নতুন পদ্ধতিতে চাষ করে এক দিকে যেমন খরচ কমেছে, অন্য দিকে ফলন অনেক বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনার আমাদের কাছে চাষের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন। চাষে পদ্ধতি পাল্টে কোনও লাভ হচ্ছে কি না, তা জানতে চেয়েছিলেন। আমরা তা জানিয়েছি। আমরাও ওই পদ্ধতিতে চাষে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি।”
কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের কৃষি আধিকারিক রজত চট্টোপাধ্যায় জানান, বর্তমানে দুই হাজার বিঘা জমিতে যন্ত্রের সাহায্য চাষ হচ্ছে। তিনি বলেন, “ওই চাষের একটি বড় গুণ জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি। যে কৃষক চার বছর ধরে ওই পদ্ধতিতে চাষ করছেন তাঁর জমিতে ফলন অনেক বেড়ে গিয়েছে। প্রায় প্রত্যেকেই সাধারণ চাষের থেকে দ্বিগুণ ফসল পাচ্ছেন।” হাই কমিশনারকে সে কথা জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক অপূর্ব চৌধুরী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy