Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

রাজবংশী পর্ষদে বংশীবদনও

মঙ্গলবার দুপুরে পাহাড় বৈঠকে আগে উত্তরকন্যায় ওই বোর্ড গঠনের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমিরও সহ সভাপতি করে দিয়েছেন বং‌শীবদনবাবুকে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:২৯
Share: Save:

গ্রেটার কোচবিহারের আন্দোলন করতে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশের খাতায় তখন তিনি ফেরার হয়ে যান। পরে জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে আসেন। সম্প্রতি নতুন করে আন্দোলনেও নামেন। সেই বংশীবদন বর্মনকেই নতুন রাজবংশী ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বংশীবদনের মাথায় চেয়ারম্যান করে দিয়েছেন নিজের দলের বিধায়ক ময়নাগুড়ির অনন্তদেব অধিকারীকে।

মঙ্গলবার দুপুরে পাহাড় বৈঠকে আগে উত্তরকন্যায় ওই বোর্ড গঠনের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমিরও সহ সভাপতি করে দিয়েছেন বং‌শীবদনবাবুকে। নতুন করে ঢেলা সাজা হয়েছে অ্যাকাডেমির সদস্যদের। রাজবংশীর সঙ্গে কামতাপুরী ভাষাভাষিদেরও নিরাশ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের ভাষার স্বীকৃতির কথা জানিয়ে কামতাপুরী ভাষা অ্যাকাডেমিও গঠনের কথা বলেছেন। এখানে নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়িকে চেয়ারম্যান করে ভাইস চেয়ারম্যান করেছেন কেপিপি নেতা অতুল রায়কে। আরেক জন ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন ধীরেন্দ্রনাথ দাস। এ ছাড়াও সদস্য হিসাবে আছেন, বাজলে রহমান, ধীরেন্দ্রনাথ রায় এবং জলপাইগুড়ির তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজবংশী ভাষার অ্যাকাডেমি ছিলই। একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তা নতুন করে তৈরি করা হল। তেমনই, রাজবংশীদের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে একটি বোর্ড গড়া হল। মমতা বলেন, ‘‘কামতাপুরীদেরও ভাষার বিষয়টি রয়েছে। আমরা ওদের স্বীকৃতির কথা আগেই বলেছি। এবার ভাষা অ্যাকাডেমি করে দিলাম। এর সকলেই খুব ভাল করে কাজ করবে।’’ রাজবংশী বোর্ড ও অ্যাকাডেমি কোচবিহারে সদর দফতর থেকে কাজ করবে। কামতাপুরী অ্যাকাডেমির অফিস হবে জলপাইগুড়িতে।

গ্রেটার কোচবিহার এবং কামতাপুর আন্দোলনে রাজ্যের দাবির সঙ্গে ভাষার স্বীকৃতির দাবিও তোলা হয়েছে। স্কুল কলেজ স্তরে পড়ানো, গবেষণা এবং উন্নয়নের দাবি বংশীবদন বর্মন এবং অতুল রায়রা দীর্ঘ দিন ধরেই করে আসছিলেন। দুটি অ্যাকাডেমি ও বোর্ডকে ঘিরেই রাজবংশী এবং কামতাপুরিদের উন্নয়নের কাজ অনেকটাই এগোবে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। বংশীবদনবাবু বলেন, ‘‘ঘোষণার কথা শুনেছি। হাতে চিঠিপত্র পাই। তার পরে যা বলার বলব।’’

রাজবংশী বোর্ডে সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মন, পূণ্যপ্রভা বর্মন, জ্যোর্তিময় রায়, মানবেন্দ্র রায়, আবদুল রজ্জাক, পীযূষকান্তি রায়, পতলদেব সিংহ, পরেশচন্দ্র বর্মন, সুরেশচন্দ্র বর্মন-সহ ১৪ জন সাধারণ সদস্য হিসাবে আছেন। কার্য নির্বাহী সমিতিতে চেয়ারম্যান অনন্তদেব অধিকারি, ভাইস চেয়ারম্যান বংশীবদন বর্মন ছাড়াও গিরিজা শঙ্কর রায় আরেকজন ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে থাকছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE