Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ভয়ে ঘরছাড়া অনেক প্রার্থীই

বিজেপির অভিযোগ, মনোনয়ন দাখিল করার পর থেকেই জেলাজুড়ে তাদের প্রার্থীদের উপর নাম তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।

ক্ষোভ: মিথ্যে মামলা করা হয়েছে অভিযোগে দিনহাটায় যুব তৃণমূলের মিছিল। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব।

ক্ষোভ: মিথ্যে মামলা করা হয়েছে অভিযোগে দিনহাটায় যুব তৃণমূলের মিছিল। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৮ ০২:০৫
Share: Save:

কেউ নিজে প্রার্থী হয়েছেন, কারও আবার পরিবারের সদস্য। দলের হয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় কোচবিহারের এমন অনেকে অসমে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির। অসমে বিজেপিই ক্ষমতায়। দলেরই একটি অংশের বক্তব্য, কোনও প্রলোভন বা ভয়ে যাতে প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে না নেন, সে জন্য তাঁদের বিজেপি নেতারাই অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপি নেতাদের দাবি, শাসক দল তৃণমূল সন্ত্রাস করছে, সে কারণেই প্রার্থীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তৃণমূলের দাবি, ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন।

বিজেপির অভিযোগ, মনোনয়ন দাখিল করার পর থেকেই জেলাজুড়ে তাদের প্রার্থীদের উপর নাম তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। মনোনয়নে সই করার পরেও তা অস্বীকার করতে প্রস্তাবকদের বাধ্য করছে শাসকদল। উঠেছে এমনই অভিযোগ। তাই কোচবিহারের অসম লাগোয়া এলাকার অন্তত ৩০ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থক অসমে ‘আত্মীয়ের বাড়ি’তে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের অর্ধেকই প্রার্থী। বেশিরভাগই তুফানগঞ্জ মহকুমা ও লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “তৃণমূলের সন্ত্রাসে অসম লাগোয়া জেলার কিছু এলাকার দলীয় প্রার্থী, কর্মীরা বাড়ি ছেড়ে অসমে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। সন্ত্রাস নিয়ে বহুবার পুলিশে অভিযোগ জানালেও অবস্থার বদল হয়নি।’’ জেলা অফিসের শিবিরে আশ্রয়ার্থীর সংখ্যা বেড়ে দেড়শো জন হয়েছে। শুক্রবার দিনহাটা থেকে অনেকেই এসেছেন বলে জানান তিনি।

মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে বিজেপির শালবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের এক প্রার্থী তাপস প্রধান দাবি করেন, “মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাধ্য হয়েই অসমে আশ্রয় নিয়ে আছি।’’ তুফানগঞ্জ ২ ব্লকের বাসিন্দা সুজিত সেন বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী প্রার্থী, কয়েক দিন অসমেই রয়েছি।”

কিন্তু ভিন্‌ রাজ্যে কেন?

বিজেপি সূত্রের ব্যাখা, তুফানগঞ্জ মহকুমার কিছু এলাকা অসমের সংলগ্ন। অনেকের আত্মীয়ও রয়েছেন। অন্য দিকে জেলায় পুলিশের সাহায্য মিলছে না। অসমে তৃণমূল খবর রাখতে পারবে না।

তৃণমূল অবশ্য সন্ত্রাসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “কোথাও সন্ত্রাস নেই। আসলে বিজেপি ভাড়াটে লোকদের প্রার্থী করে বাইরে ঘুরতে পাঠিয়েছে। জেতাও ওদের লক্ষ্য নয়। নিছক অপপ্রচার করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা ওদের উদ্দেশ্য।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE