সুনসান: খাঁ খাঁ করছে গনির কোতোয়ালির বাড়ি। নিজস্ব চিত্র
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহে ব্যাপক ভরাডুবি ঘটেছে কংগ্রেসের। ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে কংগ্রেসের ঝুলিতে মাত্র চারটি। যদিও ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতগুলিতে বোর্ড গঠনে নির্ণায়ক শক্তি কংগ্রেসই। তবুও সেই পঞ্চায়েতগুলি দখল করতে দ্বিধায় পড়েছেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এক কংগ্রেস নেতা বলেন, “বামেদের সঙ্গে সমঝোতা করে বিধানসভার মতো পঞ্চায়েত ভোটেও তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। এখন বোর্ড গঠনে তৃণমূল কিংবা বিজেপির হাত ধরাটা সত্যিই অস্বস্তির। এদিকে, তৃণমূলও দল ভাঙিয়ে বোর্ড গড়তে মরিয়া। ফলে আমরা কী করব কিছু বুঝতে পারছি না।” জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী এবং সাংসদ মৌসম নুর বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি অধিকাংশ ত্রিশঙ্কু হয়ে রয়েছে। সেগুলিতে কংগ্রেস ফ্যাক্টর। সেখানে বোর্ড গঠনে আমাদের অবস্থানের বিষয়টি হাইকম্যান্ডকে জানানো হয়েছে। হাইকম্যান্ড যেমন নির্দেশ দেবে নিচুতলায় তেমনই বার্তা দেওয়া হবে।”
জেলার ১৫টি ব্লকের ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল একা পেয়েছে ৫৮টি। বিজেপি ২১ এবং কংগ্রেস মাত্র ৪টি। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকে ২টি, চাঁচল ১ ও হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকে একটি করে পঞ্চায়েত পেয়েছে কংগ্রেস। আর ত্রিশঙ্কু রয়েছে ৬৩টি। আর পঞ্চায়েত সমিতির ১৫টির মধ্যে তৃণমূল একক ভাবে পেয়েছে ৯টি। বিজেপি ২টি এবং কংগ্রেস একটি। ত্রিশঙ্কু রয়েছে তিনটি। গ্রাম পঞ্চায়েত হোক কিংবা পঞ্চায়েত সমিতি— একাধিক ত্রিশঙ্কু বোর্ডে নির্ণায়ক শক্তি কংগ্রেসই। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে ২১টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১০টি, কংগ্রেস ৮টি, বিজেপি ৩টি আসন পয়েছে। এক্ষেত্রে কংগ্রেস বিজেপির সমর্থন নিয়ে বোর্ড গ়ড়তে পারে। তবে বিজেপির সমর্থন নিতে নারাজ জেলার নেতারা।
শুধু পঞ্চায়েত সমিতিই নয়, ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কংগ্রেস বেশি আসন পয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের দৌলতপুরে ১৫টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ৮টি। সাদলিচকে ১৫টির মধ্যে ৭টি, চাঁচলের ভগবানপুরে ১৬টির মধ্যে ৮টি কংগ্রেস পেয়েছে। এমন বহু আসন রয়েছে যেখানে বোর্ড গড়তে হলে কংগ্রেসকে বিজেপি কিংবা তৃণমূলের সমর্থন নিতে হবে। আর এখানেই সমস্যায় পড়েছেন জেলা নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy