Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Panchayat Poll 2018

বিরোধীর মুখেও মিষ্টি তৃণমূলের বিজয়ীদের

আলিপুরদুয়ার জেলার শামুকতলা ধরকলোনি, ধানহাটি এবং বিধাননগর গ্রাম জুড়ে সৌহার্দ্যের এমনই ছবি দেখা গেল। শামুকতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধরকলোনি এলাকায় তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থী পবন রাই।

সৌজন্য: বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন পবন রাই (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র

সৌজন্য: বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন পবন রাই (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র

রাজু সাহা
শামুকতলা শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৮ ০২:০৬
Share: Save:

ভোট চাইতে বাড়ি বাড়ি ঘুরেছিলেন। ভোট মিটতে সেইসব বাড়িতেই মিষ্টি বিলি করলেন জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা। তবে এ ব্যাপারে কোনও আমরা-ওরা’র ভেদাভেদ রাখেননি ওঁরা। পরাজিত বিরোধী দলের প্রার্থী-সহ সব দলের নেতাকর্মীদেরই হাসিমুখে মিষ্টিমুখ করালেন বিজয়ীরা। গ্রামের গুরুজনদের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদও চাইলেন তাঁরা।

আলিপুরদুয়ার জেলার শামুকতলা ধরকলোনি, ধানহাটি এবং বিধাননগর গ্রাম জুড়ে সৌহার্দ্যের এমনই ছবি দেখা গেল। শামুকতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধরকলোনি এলাকায় তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থী পবন রাই। এদিন তিনি ১০ টাকা দামের দু’হাজার রসগোল্লা বরাত দিয়ে তৈরি করিয়েছেন। সেই রসগোল্লা এদিন বাড়ি বাড়ি বিলি করছেন পবন। তাঁর কথায়, ‘‘এলাকার সমস্ত মানুষের আশীর্বাদ পেয়ে আজ আমি জয় পেয়েছি। রাজনীতির রং ভুলে এলাকার উন্নয়ন এবং সমস্ত সরকারি সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার মূল লক্ষ্য। মিষ্টিমুখ করিয়ে এলাকার মানুষের আশীর্বাদ নিলাম।’’ একই সুর শোনা গেল বিধাননগর কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী সবিতা দে সরকারের গলাতেও। তিনি বলেন, ‘‘দলাদলি ভুলে মানুষের মধ্যে সম্পর্কগুলি আরও সুন্দর হোক সেটাই চাই।’’

পবনবাবুর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন রতন শর্মা। তিনি জানান, শামুকতলার মানুষ সর্বদা সৌহার্দ্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এখানে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা তেমন ঘটে না বললেই চলে। পবনবাবুদের এই উদ্যোগ সৌহার্দ্যের সেই বার্তাই ছড়িয়ে দিল।’’

তৃণমূল নেতা ফুলচাঁদ গোস্বামী, রাজা চক্রবর্তী, প্রণব ঘোষদের বক্তব্য, রাজনৈতিক হিংসা ভুলে প্রত্যেক মানুষের মধ্যে সম্পর্কগুলি আরও মজবুত হোক। সেই বার্তা ছড়িয়ে দিতে তাঁদের প্রার্থীরা সমস্ত ভোটারদের সঙ্গে দেখা করে, মিষ্টিমুখ করিয়ে তাঁদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।

এলাকার বাসিন্দা বজরং বুচ্চা, বাবুয়া চক্রবর্তীরা জানালেন, ভোট আসবে, ভোট যাবে। ভোট ঘিরে নিজেদের মধ্যেকার সুন্দর সম্পর্কগুলি নষ্ট হয়ে যাযাটা কখনওই বাঞ্ছনীয় নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE