Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার নাবালিকা

এরই মধ্যে গত ১৭সেপ্টেম্বর ফের একবার নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা৷ ফলে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন রতনবাবু৷ রতনবাবুর অভিযোগ, তারপর থেকে মেয়েকে আর খুজে পাইনি৷

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৭ ০২:১৪
Share: Save:

নিখোঁজ নাবালিকাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ির মোহিত নগরে৷ বুধবার ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর বাড়ির লোকেরা৷ বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে সে৷ ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷

জানা গিয়েছে, মোহিতনগরের মোহন্তপাড়া এলাকায় বাড়ি ওই নাবালিকার৷ সে স্থানীয় একটি স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। নাবালিকার বাবা রতন মোহান্তর অভিযোগ, গত এপ্রিল মাসে মোহিতনগরেরই বেণুনগর কলোনির বাসিন্দা প্রদীপ বিশ্বাস তার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে৷ প্রদীপ আবার রতনবাবুর বন্ধুস্থানীয় বলেই পরিচত৷ দু’দিন পর সেনপাড়া এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়৷ রতনবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রদীপকে ধরে৷ বেশ কিছুদিন সে জেলে ছিল৷ কিন্তু নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, জেল থেকে বেরিয়েই প্রদীপ ওই নাবালিকাকে ছাড়বে না বলে হুমকি দিতে থাকে৷

এরই মধ্যে গত ১৭সেপ্টেম্বর ফের একবার নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা৷ ফলে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন রতনবাবু৷ রতনবাবুর অভিযোগ, তারপর থেকে মেয়েকে আর খুজে পাইনি৷ তিন-চারদিন আগে পর পর দুদিন মেয়ের ফোন আসে৷ মেয়ে জানায় ও শিলিগুড়িতে রয়েছে এবং ভাল রয়েছে৷ আমরা শিলিগুড়িতে ছুটে যাই৷ কিন্তু ওকে পাইনি৷ এরপর গত বুধবার মোহিত নগর বেণুনগর এলাকার একজনের থেকে খবর পাই প্রদীপের বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় রয়েছে আমার মেয়ে৷ সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি৷

নাবালিকার বাড়ির লোকেরা ইতিমধ্যেই প্রদীপ, তার বাবা-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ যদিও পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে তারা জানতে পেরেছেন, ওই নাবালিকা প্রদীপকে বিয়ে করেছিল৷ এবং বুধবার নাবালিকা নিজেই তার গায়ে আগুন দেয়৷ রতনবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমার মেয়েকে জোর করে বিয়ে করেছে প্রদীপ৷ এবং মেয়ে আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে জন্য ওকে মারধর করা হয়েছি৷ তাই গায়ে আগুন দিয়েছে৷’’

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর এ দিন প্রদীপকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে৷ জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করছে৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fire
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE