পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘উত্তরবঙ্গ’ আলাদা রাজ্যের দাবিকে উস্কে দিয়ে ভোটে ফায়দা তুলতে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। তিন দিন আগে বিজেপির পরিচিত কিছু নেতা ‘উত্তরবঙ্গ জনমুক্তি মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে ওই দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মারকলিপি দিয়েছে। তার পরেই ওই অভিযোগ সরব হয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। বিজেপি অবশ্য এখনই সরাসরি ওই দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিচ্ছে না। তারা জানিয়েছে, ওই সংগঠনের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। পাহাড় ও গ্রেটার কোচবিহারের আন্দোলন যখন অনেকটাই কোণঠাসা, সেই সময় নতুন করে আলাদা রাজ্যের দাবিকে সামনে আনার ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
উত্তরবঙ্গ জনমুক্তি মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক শীতল দাস বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য। তিনিও বলেন, “এটা দলের কোনও বিষয় নেই। উত্তরবঙ্গ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত, উপেক্ষিত। সে জন্য নানা জেলা থেকে আলাদা আলাদা ভাবে রাজ্যের দাবি উঠেছে। আমরা ওই দাবির বিরুদ্ধে। গোটা উত্তরবঙ্গ নিয়ে সমস্ত জনজাতির জন্য একটা রাজ্য চাই আমরা।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “শীতলবাবু বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য এটা ঠিক। কিন্তু ওই সংগঠনের ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না। রাজ্য থেকে তেমন কোনও নির্দেশ নেই আমাদের কাছে। তেমনটা হলে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে বিষয়টি জানাব।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সহ সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “বিজেপি নানা ভাবে নানা জায়গায় বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। আলাদা রাজ্যের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে তারা। এই চক্রান্তের উচিত জবাব পাবে তারা।”
কোচবিহারে গত লোকসভা নির্বাচনে বামেদের পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি। পরে আরও কিছু এলাকায় তাদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি হয়। আর কিছু দিন পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন।
দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপির সঙ্গী আলাদা রাজ্যের দাবিদার গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের অনন্ত রায় এখন অনেকটাই কোণঠাসা। পাহাড়েও বিজেপির সেই দিন আর নেই। এই সময় ‘উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য’ স্লোগানের নীচে অনেকেই সামিল হতে পারে বলে মনে করছে তারা। সেখানে শুধু নির্দিষ্ট একটি জনজাতি নয়, সবার কথা বলে সব জায়গায় পৌঁছনো তাদের লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শীতলবাবু তো বটেই ওই সংগঠনের সভাপতি গৌতম রায় কোচবিহারের বাসিন্দা। আহ্বায়ক মিন্টূ রায় কোচবিহারের বাসিন্দা। গৌতমবাবু বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের কোচবিহার জেলা আহবায়কের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি দাবি করেন, তিনি দল ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আটটি জেলা থেকেই এই সংগঠনে সদস্য রয়েছে। এখানে বিজেপির কোনও ব্যাপার নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy