Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রার্থী কে, প্রস্তুতির শুরুতেই বিরোধ তৃণমূলে

সংরক্ষণের গেরোয় ‘টিকিট’ হারাতে চলেছেন অনেকে। অনেকে আবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পিছিয়ে রয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজ শুরু হতেই এলাকায় এলাকায় রাজ্যের শাসক দলের মধ্যে বিরোধ বাড়ছে কোচবিহারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৮ ০২:৫৩
Share: Save:

সংরক্ষণের গেরোয় ‘টিকিট’ হারাতে চলেছেন অনেকে। অনেকে আবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পিছিয়ে রয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজ শুরু হতেই এলাকায় এলাকায় রাজ্যের শাসক দলের মধ্যে বিরোধ বাড়ছে কোচবিহারে।

দলীয় সূত্রের খবর, তৃণমূল স্তর থেকে তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে শাসক দল। সেক্ষেত্রে অঞ্চল তৃণমূলের তৈরি তালিকা ব্লক নেতৃত্বের হাত হয়ে জেলায় পৌঁছবে। সেখান থেকে তা চলে যাবে রাজ্যে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বর্তমান সদস্যদের রেখেই তালিকা তৈরির কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে মাত্রাছাড়া অভিযোগ থাকলে তা উল্লেখের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “প্রার্থী ঠিক করবে দল। সময় মতো তা ঘোষণা করে দেওয়া হবে দলের তরফ থেকে।” দলের কোচবিহার জেলার সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “আমরা দলের সৈনিক। দল যে যাদের প্রার্থী করবে তাঁদের জয়ী করা আমাদক্সের প্রত্যেকের কাজ। এখানে বিরোধের কোনও জায়গা নেই। নিয়ম মতোই সময় মেনে দল প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। আমরা ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমুলের এক নেতা অবশ্য বলেন, “সংরক্ষণের কোপে অনেক তাবড় তাবড় নেতা এ বারে টিকিট হারাতে চলেছেন, এ কথা অস্বীকারের জায়গা নেই। তা নিয়ে যাতে বিরোধ তৈরি না হয় সেদিকে নজর রাখছে রাজ্য নেতৃত্ব।”

দলীয় সূত্রের খবর, কোচবিহার জেলায় থেকে বড় সংরক্ষণের কোপে পড়েছে মাথাভাঙা মহকুমা। সেখানকার ৯টি জেলা পরিষদের আসন সংরক্ষিত হয়েছে। তার মধ্যে দুটি মহিলা বাকিগুলি তপশিলি জাতির জন্যে সংরক্ষিত। শুধু তাই নয়, মাথাভাঙা- ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ তপশিলি মহিলা সংরক্ষিত করা হয়েছে। ওই পদে রয়েছে তৃণমূল নেতা আবু তালেব আজাদ। তাঁর নির্বাচিত এলাকা মহিলা সংরক্ষিত। তাঁর এবারে শুধু সভাপতি পদ নয়, ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “দলীয় নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছি।” এ ছাড়াও ওই এলাকার সংখ্যালঘু তৃণমূল নেতা আবেদ আলি, নজরুল হক, মহিলা নেত্রী হাসিনা রব্বানি, গোলেজান বিবির আসন তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। এই অবস্থায় ওই নেতা-নেত্রীদের দাঁড়ানো এ বারে প্রায় অসম্ভব বলে মনে করছে দল।

এখন পর্যন্ত কেউই ওই বিষয়ে প্রকাশ্যে খুলতে চাননি। নজরুল হক বলেন, “দলের দিকেই তাকিয়ে আছি। পরিস্থিতির উপরে যা বলার বলব।” হাসিনা রব্বানির স্বামী শ্রমিক তৃণমূল কংরেগ্রেসের নেতা আলিজার রহমান বলেন, “দল যদি অন্য কোথাও টিকিট দেয় লড়াই করব। না হলে কর্মী হিসেবেই কাজ করবেন।” এর বাইরে অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফাদে পড়ে যদি কারও টিকিট বাতিল হয় সেক্ষেত্রে সোজা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনেকেই। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এক নেতার কথায়, “টিকিট যাতে না পাই একটা গোষ্ঠী সেই চেষ্টা করছে। রাজ্য নেতারা আমাকে চেনেন। তেমন হলে পারফরম্যান্স নিয়ে হাজির হব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE