প্রতীকী ছবি।
জলপাইগুড়িতে মুকুল রায়ের প্রকাশ্য জনসভার অনুমতি পেল না বলে দাবি করল বিজেপি৷ কোনও একটি সভাগৃহে সেই সভা করার কথা ভাবছেন বিজেপির জেলা নেতারা৷ কিন্তু শেষ মুহুর্তে সেটাও যাতে বানচাল না হয়, সেজন্য কোন সভা গৃহে মুকুলের সভা হতে পারে তাও আপাতত গোপন রাখা হচ্ছে দলের তরফে৷
প্রশাসন সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, এখনও ওই সভার অনুমতি বাতিল করা হয়নি। বিজেপির দাবি, প্রশাসনের ভূমিকা বুঝিয়েই দিচ্ছে যে অনুমতি বাতিল করা হবে।
মুকুল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই জলপাইগুড়িতে তাকে এনে একটি প্রকাশ্য সমাবেশ করতে উদ্যোগী হয় বিজেপির জেলা নেতারা৷ জলপাইগুড়ি শহরের কোন একটি বিজেপির নেতারা অনেকদিন থেকেই দাবি করছিলেন, ওই সমাবেশের মধ্য দিয়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একটা বড় অংশ তাঁদের দলে যোগ দেবেন৷
জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি সূত্রের খবর, এ মাসের শেষে ২৮ অথবা ২৯ ডিসেম্বর জলপাইগুড়িতে আসার কথা মুকুলের৷ এফডিআই স্কুলের খেলার মাঠে তাকে দিয়ে প্রকাশ্য সমাবেশ করাতে চেয়েছিলেন বিজেপি নেতারা৷ বিজেপির উত্তরবঙ্গের সহকারী আহ্বায়ক দীপেন প্রামাণিক বলেন, ‘‘এফডিআই স্কুল কর্তৃপক্ষ সহ পুলিশ ও প্রশাসনের সব মহলেই আমরা মুকুল রায়ের জনসভার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলাম৷ এফডিআই স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের অনুমতিও দিয়ে দেয়৷ কিন্তু পুলিশ বা প্রশাসনের তরফে আমাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি৷’’
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, পুলিশ-প্রশাসনকে দিয়ে এ ভাবে বিজেপিকে কোনভাবেই দমিয়ে রাখা যাবে৷ তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসন প্রকাশ্য সভার অনুমতি না দিলেও কোন সভাগৃহে তার সেই সভা হবে৷ সেখানেই যোগদান কর্মসূচি থাকবে৷ কিন্তু কোন সভা গৃহে সেই সভা হবে? দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘মুকুলবাবুর সভা বানচাল করতে সেই সভাগৃহের মালিককেও ভয় দেখান হতে পারে৷ তাই আপাতত আমরা সেই সভা গৃহের নাম গোপনি রাখছি৷’’
তবে বিজেপির উত্তরবঙ্গের সহকারী আহ্বায়ক দীপেনবাবু বলেন, ‘‘আমরা বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় মুকুলবাবুর উপস্থিতিতে যোগদান সভাও করতে পারি৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy