Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

ভ্যাটে শিশুর দেহ

সপ্তাহ দু’য়েক আগেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বর থেকে উদ্ধার হয়েছিল সদ্যোজাত শিশুর মৃতদেহ। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার দুপুরে ফের সদ্যোজাত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হল হাসপাতাল চত্বরেই। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

উদ্ধার: আবর্জনার এই স্তূপ থেকে মিলল শিশুর দেহ। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়

উদ্ধার: আবর্জনার এই স্তূপ থেকে মিলল শিশুর দেহ। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩৬
Share: Save:

সপ্তাহ দু’য়েক আগেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বর থেকে উদ্ধার হয়েছিল সদ্যোজাত শিশুর মৃতদেহ। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার দুপুরে ফের সদ্যোজাত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হল হাসপাতাল চত্বরেই। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সদ্যোজাতের মৃতদেহটি একটি কুকুর মুখে করে নিয়ে ঘুরছিল। কুকুরটিকে তাড়া করলে হাসপাতালের জলাধারের সামনে আবর্জনার উপরে দেহটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

সদ্যোজাতর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর আত্মীয় পরিজন থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, হাসপাতালে অনেক প্রসুতি মৃত সন্তান প্রসব করেন। ‘নিজেদের দায় এড়াতে’ কর্তৃপক্ষ সেই মৃত শিশুদের বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন। যার জন্য হাসপাতালে সদ্যোজাত শিশুর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। যদিও এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গত, ১ এপ্রিল হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে একটি সদ্যোজাত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পথ কুকুর সেই শিশুটির মৃতদেহ খুবলে খাচ্ছিল। এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল হাসপাতাল চত্বরেই।

বহির্বিভাগের পাশে জলাধারের সামনে কুকুরের মুখে সদ্যোজাত শিশুর মৃতদেহটি দেখতে পান হাসপাতাল চত্বরে থাকা অ্যাম্বুলেন্স চালক ও অন্য রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। তাঁরা কুকুরটিকে তাড়া ককরে। কুকুরটি তখন দেহটি ফেলে রেখে পালায়।

এই ঘটনায় ব্যাপক হইচই পড়ে যায়। শিশুটির বাঁ পায়ে ব্যান্ডেজ রয়েছে। বয়স দুই থেকে তিন দিন। মুন্না ঘোষ, ওবাইদুর রহমানেরা বলেন, ‘‘কুকুরের মুখে শিশু দেখে আমরা হতচকিত হয়ে যাই। কিন্তু বুঝতে পেরেছিলাম, শিশুটি জীবিত রয়েছে। আমরা তখন কুকুরের পিছু নিয়েছিলাম। পরে দেখি শিশুটি মৃত। আমাদের মনে হয় শিশু হাসপাতালেরই হবে।’’

মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সুপার তথা সহ অধ্যক্ষ অমিতকুমার দাঁ বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শিশুটি হাসপাতালের নয়। তবুও ঘটনাটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Child Garbage Dead Body
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE